Barak UpdatesCultureBreaking News
শিলচরেও বঙ্গ সাহিত্যের শহিদ স্মরণ
জগন-জিসুকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করল বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের শিলচর শহর আঞ্চলিক সমিতি। গত ২১ জুলাই তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বঙ্গভবনের দৃষ্টিনন্দনে আয়োজন করা হয় সাহিত্যবাসরের। আঞ্চলিক কমিটির সহসভাপতি সীমান্ত ভট্টাচার্য তাতে পৌরোহিত্য করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে কেন্দ্রীয় সভাপতি সৌরীন্দ্রকুমার ভট্টাচার্য শহিদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন। পরে উপস্থিত সবাই একে একে শহিদ জগন-জিসুর উদ্দেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। নির্ধারিত বক্তা অমিত সিকিদার বলেন, অসমে বাংলা ভাষাকে মর্যাদার সঙ্গে টিঁকিয়ে রাখার যে লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন করিমগঞ্জের দুই সংগ্রামী যুবক, আজও সেই লড়াই অব্যাহত রয়েছে। তাঁর আশঙ্কা, সাহিত্য সৃষ্টি বা কলা-সংস্কৃতিতে আঞ্চলিক বা উপভাষার ব্যবহারে নতুন সঙ্কট দেখা দিতে পারে। কামরূপিয়া বা গোয়ালপাড়িয়ার মতো সিলেটি উপভাষাকেও আগ্রাসনবাদীরা নিজেদের বলে দাবি করতে পারে। তাই কথ্যভাষা যাই হোক না কেন, সাহিত্য-সংস্কৃতি-লেখালেখি যেন সবাই মান্য বাংলায় করেন, অনুরোধ জানান তিনি। বঙ্গ সাহিত্যের জেলা সভাপতি তৈমুর রাজা চৌধুরী জগন-জিসুর সঙ্গে স্মরণ করেন ২০১০ সালের ২১ জুলাই তারিখে বরপেটায় নিহত চার শহিদকেও। এনআরসি পাইলট প্রজেক্টের সময়ে আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁরা। তিনি বলেন, জগন-জিসুর প্রাণের বিনিময়ে আজও বরাক উপত্যকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলায় পাঠগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে। তেমনি বরপেটার শহিদদের জন্য এনআরসি-র নাগরিকত্ব প্রমাণে ভোটার তালিকা ছাড়াও আরও বেশ কিছু নথিপত্র মান্যতা পেয়েছে।
বঙ্গভবনে সে দিনের সাহিত্যবাসরে মোট ৫জন কবি উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন বাপী রায়, শিপ্রা দে, শতদল আচার্য, কস্তুরি হোমচৌধুরী ও হাসনা আরা শেলী। সবাই শহিদদের উদ্দেশে তাঁদের স্বরচিত কবিতা নিবেদন করেন। কস্তুরি হোম চৌধুরী ও শতদল আচার্য কবিতা পড়ার আগে তাঁদের অনুভূতিও প্রকাশ করেন। বর্তমান সঙ্কটের সময়ে শহিদদের কথা স্মরণে রেখে এগিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন বঙ্গ সাহিত্যের জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক অভিজিত ধর, সুশান্তকুমার সেন ও দেবলীনা রায়।