Barak UpdatesCultureBreaking News
রূপমের নাটক প্রতিযোগিতা হবেই, অর্থ জোগাবেন অন্যরাও
২৪ আগস্টঃ রূপমের সর্বভারতীয় বাংলা একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা এ বারও হবেই। জাঁকজমক সহ-ই হবে। শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শহরের নাট্যমোদী জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জানিয়ে দেন, আর্থিক সমস্যা কাটাতে তাঁরা রূপমের পাশে দাঁড়াবেন।
রূপম আয়োজিত নরেশচন্দ্র পাল স্মৃতি একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা এ বার ৪০-তম বর্ষে পা দিয়েছে। একে বিশেষভাবে উদযাপনের জন্য তারা প্রস্তুতই ছিলেন। কিন্তু বাদ সাধে জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহ। সেখানেই এতদিন ধরে কম খরচে তারা প্রতিযোগিতা ও আনুষঙ্গিক কাজকর্ম করছিলেন। এ বার দুর্গাপূজার পরই ওই প্রেক্ষাগৃহ আধুনিকতর করে তোলার কাজে হাত দেওয়া হচ্ছে। ফলে একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা সেখানে করা সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে কোথায় হবে প্রতিযোগিতা?
বিকল্প স্থান বললে বঙ্গভবন বা রাজীবভবন। দুই জায়গাতেই মোটা অঙ্কের ভাড়া গুনতে হবে। এত টাকা কোথা থেকে আসবে? তাহলে কি প্রতিযোগিতা এ বার হবে না? ওইসব প্রশ্নকে সামনে রেখেই শনিবার সন্ধ্যায় ইলোরা হেরিটেজে আয়োজন করা হয়েছিল এক বিশেষ সভার। শহরের নাটকের দলগুলিকে আহ্বান করা হয়েছিল। উপস্থিত থাকতে অনুরোধ গিয়েছিল বিভিন্ন নাট্যবোদ্ধাদের কাছে।
শুরুতেই রূপমের সম্পাদক নিখিল পাল সমস্যার জায়গাগুলি তুলে ধরে সভার পরামর্শ চান। সু্ব্রত ভট্টাচার্য, সুব্রত (শম্ভু) রায়, প্রদীপ দাস, দীপক সেনগুপ্ত, সব্যসাচী পুরকায়স্থ, সায়ন বিশ্বাস, অজয় রায়, অরিন্দম দেব, কৃষ্ণপদ গোস্বামী, বাদল দে, বিশ্বতোষ চৌধুরী, স্বর্ণালী চৌধুরী, দীপঙ্কর চন্দ প্রমুখ নিজেদের বক্তব্যে রূপমের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায়। পৌরোহিত্য করেন রূপমের সভাপতি প্রদীপ দত্তরায়। তিনি বিশেষ সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। এই নাটক প্রতিযোগিতা যে কোনওমতেই বন্ধ হবে না, এটা এই সভায় স্পষ্ট হয়েছে তিনি মন্তব্য করেন। এর আগে রূপমের নাট্য সম্পাদক সত্যজিত দে বলেন, সকলের ভরসা পেয়ে এ বার ৪০-তম বর্ষের প্রতিযোগিতা বরং আরও জাঁকজমক হয়ে উঠবে।