Barak UpdatesCulture

রবীন্দ্র প্রয়াণ মাসে নন্দিনীর কবিগুরু স্মরণ

ওয়ে টু বরাক, ২২ আগস্ট : রবিঠাকুরের প্রয়াণ দিবসকে মনে রেখে শ্রাবণের শেষদিনে কবিগুরুকে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্মরণ করল নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্র। কোষাধ্যক্ষ সুপ্রিয়া পালের প্রেমতলার বাসভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতে সংস্থা প্রধান ড. সুমিতা ঘোষ স্বাগত বক্তব্যে মৃত্যু চেতনার পরিপ্রেক্ষিতে রবিঠাকুরের বিভিন্ন রচনা এবং পৃথিবীর বিভিন্ন কোণে এ সব রচনা থেকে বিভিন্ন জনের জীবনে প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।

পাশাপাশি তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার নিন্দা জানান এবং পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া নারকীয় কান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান। এছাড়াও উপস্থিত সবাইকে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান এবং দেশের জন্য যারা লড়াই করে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, সেইসব মনীষীদের সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন।

শর্মিলা দত্তের সম্পাদনায় সংস্থার দেওয়াল পত্রিকা ‘প্রাচীর ফুল’-এর নবম সংখ্যা এ দিন অনুষ্ঠানে উন্মোচিত হয়। “মৃত্যু কী জীবনের কাছে সমর্পণ?” — এই বিষয়ের উপর নন্দিনীদের লেখায় সেজে উঠেছে পত্রিকাটি। উন্মোচন করেন তিন অতিথি সংগীতশিল্পী শিবানী গাঙ্গুলি, পারমিতা দাস, সুচরিতা চৌধুরী ও বাচিক শিল্পী মানসী নন্দী। একই সঙ্গে সমবেত কন্ঠে পরিবেশিত হয় ‘অন্তর মম বিকশিত করো অন্তরতর হে’ রবীন্দ্র সঙ্গীত।

এ দিন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবানী গাঙ্গুলি ভট্টাচার্য,পারমিতা দাস ও সুচরিতা চৌধুরী। প্রত্যেকেই রবিঠাকুরের গান গেয়ে শোনান এবং শিবানী গাঙ্গুলী ভট্টাচার্য প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন। বাচিক শিল্পী মানসী নন্দী আবৃত্তি করে শোনান ২টি কবিতা। রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখেন নন্দিনীর উপদেষ্টা কবি চন্দ্রিমা দত্ত। তাঁর বক্তব্যেও উঠে আসে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর নৃশংসতা ও পশ্চিমবঙ্গের অমানবিক কান্ডের নিন্দা। তিনি রবীন্দ্রনাথের রচনা নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বর্বরতার চূড়ান্ত পর্যায়ে নৃশংসতার বলি ডাক্তার কন্যাটির কাছে “মরণরে তুহু মম শ্যাম সমান” কখনই হতে পারে না।

সংস্থা সদস্য স্মৃতি দাস বর্তমান অস্থির পৃথিবীর নানা দিক, নারী নির্যাতন, উৎপীড়ন, নৃশংস হত্যা এবং সেখান থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সংস্থার সদস্য নমিতা আচার্য ও প্রচার সম্পাদক জয়া ভাওয়াল রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন। আবৃত্তি করেন মৌপিয়া চৌধুরী, মিনতি রানি রায় ও জয়শ্রী ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংস্থা সম্পাদক মঞ্জরী হীরামণি রায়। এ দিন অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন মৌপিয়া চৌধুরী। এছাড়াও এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রুমি রায়, স্বাতীলেখা রায়, তপতী চৌধুরী, সুমেধা কাহন প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker