Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
মমতা নয়, ক্ষমতা নিয়ে আসামে এসেছিলেন দিদির দল, বললেন পরিমল
মমতাদির দল মমতা নিয়েই আসবেন বলে সবাই আশা করেছিলেন। কিন্তু দিদির দলের সদস্যরা এলেন ক্ষমতা নিয়ে।
শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করলেন অসমের বন ও পরিবেশ বিভাগের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। শিলচর বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদদের ধুন্ধুমার পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ৮ জনের এই দল এখানে এসে সাংসদ ও মন্ত্রী পদমর্যাদাকে একেবারে শেষ করে দিয়ে গেলেন। মানুষ এজন্য লজ্জিত যে, সাংসদদের ব্যবহার এমন হওয়া উচিত নয়। তৃণমূল সাংসদরা আসামে কেন এসেছিলেন, এই প্রশ্ন সারা আসামের মানুষের কাছে, সারা দেশের মানুষের কাছে।
মন্ত্রী বলেন, দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুদিন আগে গৃহযুদ্ধের কথা বলেছিলেন। আর সেজন্যই তিনি টিম বানিয়ে দলের মানুষকে এখানে পাঠিয়েছেন। তবে এর সঠিক জবাব বরাক তথা আসামের মানুষ দিয়েছেন। তাদের কথাবার্তায় ও ব্যবহারে বুঝতে পেরেছেন, তাদের কোনও ভিত্তি নেই। তারা এখানে কেন এসেছেন, তার জবাবও তাদের কাছে নেই।
পরিমল আরও বলেন, আসামে এনআরসি প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা চলছে। আদালত বলেছে, চূড়ান্ত খসড়ায় যাদের নাম আসেনি, তারা তাদের নাম তোলার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু এরপর যাদের নাম উঠবে না, তখন সেটি একটি দীর্ঘতম প্রক্রিয়া হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে তৃণমূল সাংসদরা এমন আচরণ করে সুপ্রিম কোর্টকে মান্যতা দিতে রাজি হননি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে পরিমল আরও বলেন, তৃণমূল নেত্রী ৪০ লক্ষ শরনার্থী বলে উল্লেখ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট তো এদের শরণার্থী বলেনি, এই এনআরসি ছুট মানুষকে আদালত বলছে তাদের দাবি আপত্তি জমা দেওয়ার জন্য, তাহলে কীভাবে তিনি তাদের শরণার্থী বলছেন? তার মানে কি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের থেকে বড় হয়ে গেলেন নাকি?
পরিমল বলেন, এসব উনিশের ভোটের দিকে চোখ রেখে করতে চেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী, যাতে ক্ষমতা দেখিয়ে মানুষের আবেগকে পুঁজি করে এখানে দলের ভিত তৈরি করা যায়। কিন্তু তাদের এই আসা অন্যায় হয়েছে, যে কারণে দলের রাজ্য সভাপতি বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
মন্ত্রী এও বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করেছে, বরাকের মানুষ ভদ্রলোক, কারণ তাদের হাতজোড় করে বার বার নিরস্ত করা হয়েছে। এরপরও তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে তাদের আহত করেছেন। তাদের এই চরিত্র সারা দেশের মানুষের কাছে প্রকাশ হয়েছে। তারা যে পশ্চিমবঙ্গে বাহুবল দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন, সেটা শিলচরে এসে এমন আচরণ করে তারা প্রমাণ করে দিয়েছেন।
পরিমল এ দিন অভিযোগ করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনওই চাননি আসামে এনআরসি ঠিকভাবে হোক, সেটা চাইলে তিনি কেন পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো এনআরসির নথিপত্র ভেরিফিকেশন করে পাঠালেন না? শুধু এ কারণেই লক্ষাধিক মানুষের নাম বাদ পড়েছে। তাছাড়া এতদিন আসামের মানুষের জন্য তাঁর দরদ কোথায় ছিল বলেও প্রশ্ন তুলেছেন পরিমল শুক্লবৈদ্য।