India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
মন্দারমণির পর পর্যটকদের জন্য খুলছে দিঘা-সুন্দরবন
১১ জুন : মন্দারমণির পর এ বার খুলে যাচ্ছে দিঘার সমুদ্র সৈকত। খুলছে হোটেল। আগামী ১৫ জুন থেকে খুলে দেওয়া হবে সুন্দরবনের দরজাও। ফলে পর্যটনের এই ভরা মরশুমে পর্যটকদের জন্য আনন্দের খবর এনেছে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন বিভাগ। তবে এক্ষেত্রে পর্যটক সহ সবাইকেই বিশেষ কিছু নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শহরের মধ্যে থাকা পাকা হোটেলগুলিই আপাতত চালু হচ্ছে। বাইরের দিকে থাকা হোটেলগুলি এখনই খোলা হবে না। এর আগে মন্দারমনির হোটেলও খুলে গিয়েছিল যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে। বৈঠকে বলা হয়েছে, ৩০ শতাংশ ঘরই আপাতত ভাড়া দেওয়া হবে, কর্মী সংখ্যাও থাকবে ৩০ শতাংশ। তবে যে সব কর্মীরা কাজ পাবেন না, তাঁদের ব্যয়ভারও নিতে হবে হোটেল কর্তৃপক্ষকে। প্রত্যেকটি হোটেলকেই স্বাস্থ্য দফতরের নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে রুম।
অন্যদিকে, মন্দারমনিতে হোটেল চালু হলেও সেভাবে দেখা নেই পর্যটকদের। আবার একাংশের অভিযোগ, স্থানীয়দের বাধায় ফিরে যেতে হচ্ছে পর্যটকদের। এ বার দিঘায় পর্যটকদের আগমন শুরু হলে পরিস্থিতি কোনদিকে যায় সেটা নিয়েও চিন্তিত হোটেল মালিকরা। তাছাড়া প্রায় তিনমাসের কাছাকাছি বন্ধ থাকার পর সুন্দরবনের জঙ্গল ভ্রমণ ফের শুরু হচ্ছে।
করোনা ভীতির মধ্যেই লকডাউন অনেকটাই শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এ বার পর্যটন শিল্পকে চাঙা করতে এবং সুন্দরবনবাসীদের কথা মাথায় রেখে পর্যটনের ছাড়পত্র দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হোটেল, রিসর্টগুলিরও। এর ওপর করোনা আবহে কত পর্যটক যাবেন সেটা নিয়েই চিন্তায় রয়েছেন সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। বন দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য বেশ কিছু স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে।