India & World UpdatesBreaking News
আজ মধ্যরাতে ফুরিয়ে যাবে পারমাণবিক ঘড়ির দম, জিপিএস নিয়ে শঙ্কা
১৯৮০ সালের ৬ জানুয়ারি ওই ঘড়ি চালু হয়েছিল। ১৯৯৯-র ৬ এপ্রিল এর দম ফুরিয়েছিল। তার পর ফের দম দেওয়া হয়েছিল সেই পারমাণবিক ঘড়িতে। ১ হাজার ২৪ সপ্তাহ বা ১৯ বছর ৭ মাস পর শুক্রবার মধ্যরাতের পর ফের দম ফুরিয়ে যাবে। তাকে আবার নতুন করে দম দিতে হবে।
পারমাণবিক ঘড়ির উপরেই নির্ভরশীল পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণী ও উদ্ভিদের অবস্থান। যার নাম- গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস। সেই ঘড়ির দম ফুরোলে জিপিএস গন্ডগোল হয়ে যাওয়ারই আশঙ্কা। আর এই জিপিএসের উপর নির্ভরশীল ইন্টারনেট, নেট-ব্যাঙ্কিং এবং পৃথিবীর বিভিন্ন কক্ষপথে থাকা অন্তত ৫ হাজার কৃত্রিম উপগ্রহ।
তাই উঠে আসছে প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন। তবে সাড়ে ১৯ বছর আগের অভিজ্ঞতায় বিজ্ঞানীরা সে সব আশঙ্কাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। কলকাতার ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স-এর অধিকর্তা সন্দীপ চক্রবর্তীর কথায়, তখন সেটাকে অ্যাডজাস্ট করতে হবে তড়িঘড়ি। দম ফুরিয়ে গেলে আমরা যেমন আবার দম দিই ঘড়িতে। তিন-চার মিনিটের মধ্যে সেই পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার ক্ষমতা বিশ্বের সব দেশের সবক’টি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার হাতেই রয়েছে।’’
ভারতের উপগ্রহ ‘অ্যাস্ট্রোস্যাট’-এর সায়েন্স অপারেশনের প্রধান, পুণের ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স-এর অধ্যাপক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যও এই আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের অ্যাস্ট্রোস্যাটে যে সব যন্ত্রপাতি রয়েছে, তার একটি জিপিএসের উপর কিছুটা নির্ভরশীল ঠিকই, কিন্তু তাতে কোনও অসুবিধা হবে না। জিপিএস ছাড়াও রাশিয়ার জিও-পজিশনাল পজিশনিং সিস্টেম-এর উপর নির্ভরশীল বিকল্প ব্যবস্থাও রয়েছে অ্যাস্ট্রোস্যাটে। ফলে, আমাদের উদ্বেগের কারণ নেই।’’
খড়্গপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (আইআইটি) জিওফিজিক্সের অধ্যাপক শঙ্কর কুমার নাথ বলেন, জিপিএস নিয়ে আশঙ্কায় ভূকম্প মাপার যন্ত্রগুলির কোনও অসুবিধা হবে না।