Barak UpdatesBreaking News
ভোর হতেই ভাষাশহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি
১৯ মেঃ গানে-কথায়-কবিতায় শহিদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে বরাক। ভোর ৬টায় স্টেশন চত্বর থেকেই শুরু হয় শহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে মানুষ গিয়ে জড়ো হন। ভাষা শহিদ স্মারকে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করেন। এই তালিকায় বিশিষ্টজন থেকে সাধারণ মানুষ সবাই ছিলেন। ৫৮ বছর আগের ঘটনা। বাংলাভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে ১৯৬১ সালের ১৯ মে পুলিশের গুলিচালনায় ১১ জন শহিদ হন।
সকালেই ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে স্টেশন চত্বরে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, সাংসদ তথা শিলচর আসনের কংগ্রেস প্রার্থী সুস্মিতা দেব, তৈমুররাজা চৌধুরী, সনত কৈরী, শরিফুজ্জামান লস্কর প্রমুখ। শহিদ মিনারে একাদশ শহিদকে শ্রদ্ধা জানানোর পর স্টেশনেই ভাষা শহিদ স্টেশন শহিদ স্মরণ সমিতির সভাপতি বাবুল হোড়ের পৌরোহিত্যে এক সভায় তাঁরা বক্তব্য রাখেন। এ দিন অনেক বক্তাই শিলচর রেল স্টেশনের নাম ভাষা শহিদ স্টেশন শিলচর করার পক্ষে মত দেন।
আর দুপুরে শিলচরের গান্ধীবাগের দৃশ্য বললে, কেউ মাঠের কোণে বসে কবিতা লিখছেন। কোথাও চিত্রশিল্পীরা এঁকে শহ্দিদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। গান-কবিতা-নৃত্য নাটক লেগেই ছিল। বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে সেখানকার ভাষাশহিদ স্মৃতিসৌধের দরজা খোলা হয়। কিন্তু এর অনেক আগে থেকেই পুষ্পস্তবক, ফুল, ফুলমালা নিয়ে লাইনে দাঁড়ান শহর-গ্রামের বহু মানুষ। গান্ধীবাগের ভেতরে গোলঘরে অনুষ্ঠান করছিল বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের শিলচর শহর আঞ্চলিক সমিতি। ডানদিকে সকাল থেকে গান-বাজনা করতে থাকে মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতি। বাঁদিকে বিশাল মঞ্চ গড়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ। শিল্পীরা এ-মঞ্চ ও- মঞ্চ ঘুরে গান গাইলেন। আর শনিবারই তিনমঞ্চকে আলপনায় জুড়ে দেওয়ার কাজটা করেছে বিভিন্ন সংগঠনের জনাপঞ্চাশেক যুবা। এর মধ্যে ছিল বহু স্কুল-কলেজের পড়ুয়াও।
Pic Credit:Eagle৮টায় সবাই যান শিলচর শ্মশানঘাটে। লাইন ধরে সবাই এগিয়ে যান প্রত্যেক ভাষাশহিদের নামাঙ্কিত পৃথক পৃথক সৌধের দিকে।