India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
ভোটের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চূড়ান্ত হার প্রকাশ করতে হবে, কমিশনকে সুপ্রিম নির্দেশ
নতুনদিল্লি, ১১ মে : সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে ভোটের হার প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। বিরোধীদের জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত এই রায় দিয়েছে। আদালত বলেছে, আগামী চার দফা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোট প্রয়োগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চূড়ান্ত ভোটের হার প্রকাশ করতে হবে। শুক্রবার মামলার শুনানি ছিল।
এর আগে কমিশনের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ ছিল, ভোটের হার নিয়ে গরমিল দেখা যাচ্ছে। আদালতে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, প্রথম দফা অর্থাৎ ১৯ এপ্রিলের ১১ দিন এবং দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের ৪ দিন পরে ভোট প্রয়োগের চূড়ান্ত হার ঘোষণা করা হয়। এক্ষেত্রে প্রথম দু দফার ভোটে ৫ থেকে ৭ শতাংশ ভোট বৃদ্ধিতে বিস্মিত হয়ে বিরোধীরা কারচুপির অভিযোগ তোলেন। তাঁদের বক্তব্য, যেখানে বিজেপির কম ভোট পেয়েছিল, সেখানে কমিশন নোটিশ জারি করে ভোটের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। তখনই বিরোধীরা হইচই শুরু করেন, জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়।
কমিশন জানিয়েছে, চূড়ান্ত তালিকা তৈরির আগে কিছু অফিসিয়াল কাজ থাকে যা শেষ করতে করতে দু একদিন চলে যায়। সব পক্ষের মতামত যাচাই করে শীর্ষ আদালত এ বার ভোটের হার প্রকাশের সময়সীমা দুদিনের মধ্যে বেঁধে দিল।
উল্লেখ্য, গত বারের সাধারণ নির্বাচন আর এই বছরের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এসবিআই আর ইসিআই থেকে প্রাপ্ত তথ্য জানাচ্ছে, ২০১৯ সালে যেখানে দু দফায় ভোট পড়েছিল ২০৬১.৪ লক্ষ, ২০২৪ সালে তৃতীয় দফার আগে পর্যন্ত তা এসে দাঁড়িয়েছে ২০৭০.১ লক্ষে। দুই বছরের ব্যবধান ৮.৭ লক্ষ। পাঁচ বছর আগে প্রথম দফায় ভোটের হার ছিল ৭০ শতাংশ। দ্বিতীয় দফায় ভোটদানের গড় ছিল ৬৬.৭১ শতাংশ। এর মধ্যে ত্রিপুরায় ৮০, মণিপুরে প্রায় ৮৫ ও পশ্চিমবঙ্গে ৭৬.৫৮ শতাংশ ভোট হয়েছে।
ভোট বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভোটের হার ভারতের মতো দেশে যথেষ্ট কম, যেটুকু ভোট বেড়েছে, তা জনসংখ্যা বৃদ্ধির নিরিখে। ভোট দানের হারে নয়।। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তাঁরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলি যতই আবেগকে নির্বাচনী হাতিয়ার করুন, ভারতবাসী ভোট দেওয়ার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেছেন। এর পিছনে কারণ রাজনৈতিক দলগুলির নীতিহীনতা, দলবদলের রাজনীতি, আশাভঙ্গ প্রভৃতি। বিশেষ করে ২০২০ এর অতিমারির প্রভাব থাকতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।