CultureBreaking News

বৃহস্পতিবার নান্দনিক, সারস্বত, গণমুখ, রেস, খেলাঘরের নাটক

১৯ ফেব্রুয়ারি: নাটকে দর্শকের খরা কেটে গিয়েছে৷ তাতে আয়োজক-প্রযোজকদের চ্যালেঞ্জ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে৷ দর্শকদের ধরে রাখতে হলে ভাল নাটক দেখানো চাই৷ হোক তা প্রতিযোগিতামূলক বা প্রদর্শনী৷ বুধবারের প্রতিযোগিতায় চার দলের অংশগ্রহণের পর বৃহস্পতিবার নাটক করবে ৫ দল৷ এরা হল—নান্দনিক, সারস্বত, গণমুখ, রেস ও খেলাঘর৷

প্রথম নাটক শেষ দৃশ্য৷ রচনা: সৌমেন পাল৷ নির্দেশনা: দীপঙ্কর চন্দ৷ প্রযোজনা: নান্দনিক৷

নাটকের বিষয়বস্তু: হিপোক্র্যাটদের মুখোশ উন্মোচন৷ সত্যকে যেভাবেই আমরা চাপা দিতে চাই না কেন, তা বেরিয়েই আসে৷ অন্যদিকে, ক্ষমতাশালী যারা, তারা কীভাবে সমাজকে কলুষিত করেন এবং ধরা পড়েও যান৷ সেই সত্য উদ্ঘাটনের কাহিনি নিয়েই নাটক শেষ দৃশ্য৷

দ্বিতীয় নাটক: আলোর পাখি৷ রচনা: জয়া দেব৷ নির্দেশনা: শান্তনু সেনগুপ্ত৷ প্রযোজনা: সারস্বত৷

নাটকের বিষয়বস্তু: হিংসা, প্রতিহিংসা, আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে মানবতাবোধে ঋদ্ধ, নন্দিত এক সংগ্রামী, আত্মপ্রত্যয়ী নারীর নির্ভীক প্রতিবাদ৷ এর সোপান বেয়ে হিংসাজর্জর খাঁচায় বন্দি বিপথগামী এক যুবকের ভালবাসার মধুরিমায় আলোর উড়ান৷

তৃতীয় নাটক : রূপকথা নয়৷ রচনা: মলয় ঘোষ৷ নির্দেশনা: শ্যামল মজুমদার৷ আলো: নারায়ণ দেবনাথ৷ মঞ্চসজ্জা: কাশীনাথ চক্রবর্তী৷ রূপসজ্জা: রঞ্জুশ্রী সাহা৷ আবহ: তাপস দাস৷ শব্দ প্রক্ষেপণ: অনিমেষ দাস৷ প্রযোজনা: গণমুখ, নদীয়া৷

নাটকের বিষয়বস্তু: এটি একটি মূল্যবোধের নাটক৷ আধুনিক ভোগসর্বস্ব জীবনে সততা, মূল্যবোধ কথাগুলি এখন হাস্যকর৷ নীতিহীনতা, শঠতা, প্রবঞ্চনা, মিথ্যাচারের চর্চাই যেন এই সময়ের দাবি৷ ‘রূপকথা নয়’ নাটকে বিশু ট্যাক্সি চালায়৷ স্ত্রী-পুত্র নিয়ে সংসার চলে যাচ্ছিল৷ আচমকা ছেলের পেটে ব্যথা শুরু হয়৷ ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেন, জটিল রোগ৷ অপারেশন করাতে হবে৷ প্রচুর টাকা চাই৷ অনুনয়-বিনয় করেও জবাব মেলে, এক টাকাও কম হবে না৷ একদিন এক যাত্রী ট্যাক্সির পেছনের আসনে একটি ব্যাগ ফেলে যায়৷ প্রচুর গয়না তাতে৷ বিশু একবার ভাবে, এ ভগবানের দান৷ বিক্রি করে ছেলের অপারেশন করাবে৷ পরক্ষণেই মনে হয়, এই টাকায় ছেলের মঙ্গল হবে না৷ ব্যাগ ফিরিয়ে দিতে গিয়ে দেখে, এ তো ডাক্তারের স্ত্রীর ব্যাগ৷ পরে তার মত দরিদ্র ট্যাক্সিচালকরাই বিশুর পাশে দাঁড়ায়৷

এ দিনের চতুর্থ নাটক: বাজে মাদল বাজে৷ প্রযোজনা : রেস থিয়েটার , পয়লাপুল৷ রচনা, নির্দেশনা : ইন্দ্রনীল দে৷ সঙ্গীত পরিচালনা : রাজেশ ধুবি৷ আলোক পরিকল্পনা : সত্যজিৎ বসু৷ মঞ্চ পরিকল্পনা : সচিন কৈরী৷
নাটকের বিষয়বস্তু: বুধুয়া আর জগাই চা বাগানের দুরন্ত বায়েন। মাদল আর করতালের জড়িয়াল বাজনায় কত নাচঘর মাত করে দিয়েছে তারা। সাঝবিহণে বসেছে তাদের তুলসী বীরের থানে, বোল উঠেছে ধিতাং ধিতাং, আর নয়া পাতির মত ঝিলিক দিয়েছে বুধুয়ার মাদল। তো মাদল কাঁধে বুধু এবার শহরে। দুচোখে স্বপ্ন তার – শহর জুড়ে মাদল বাজবে, আর বলবে সবাই, ধন্য বুধু হে! সত্যিই কি শহরের বাবুগুলোকে মাদলের নেশায় ডুবিয়ে দেবে জগাই আর বুধু, নাকি তারা নিজেরাই হারিয়ে যাবে এই ধুলার দেশের গোলকধাঁধায়? শহরের তুখোড় মিউজিক ভিডিও পরিচালক মানব, তার মিউজিক ভিডিওটার ই বা কী হবে? বুধুয়া কি পারবে মানবের তালে তাল মেলাতে? এসব নিয়েই রেস থিয়েটারের নাটক ” বাজে মাদল বাজে”।

পঞ্চম নাটক জাল৷ প্রযোজনা: খেলাঘর৷ রচনা: নির্মল রবিদাস৷ নির্দেশনা: বিপ্রজিৎ ভট্টাচার্য৷

নাটকের বিষয়বস্তু: ভালবাসার নাম করে একটি মেয়েকে ঠকিয়ে কুকর্মের দিকে ঠেলে দেয়৷ পরে মেয়েটি সেখান থেকে এক বড় নৃত্যশিল্পী হয়ে উঠল৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker