India & World UpdatesCultureBreaking News
বাংলাদেশের কণ্ঠশিল্পী মিতা হকের জীবনাবসান
ওয়েটুবরাক, ১১ এপ্রিল: বাংলাদেশের বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক আর নেই। আজ রবিবার ভোর সওয়া ৬টায় বাংলাদেশের এক হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷
গত ৩১ মার্চ মিতা হক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর নেগেটিভ হয়ে বাড়িতেও ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আগে থেকেই কিডনির রোগে ভুগছিলেন৷ ডায়ালিসিস করতে হতো নিয়মিত। শনিবার ডায়ালিসিসের সময় তার রক্তচাপ বেশ নেমে যায়। চিকিৎসকরা জানান, মিতা হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তাঁর মৃত্যু হয়।
মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে। তিনি বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী। সঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।
মিতা হক প্রথমে তার কাকা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বার্লিন আন্তর্জাতিক যুব ফেস্টিভ্যালে অংশ নেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলা বাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে সঙ্গীত শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন।
মিতা হক অভিনেতা-পরিচালক খালেদ খানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। খালেদ খান ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। মিতা রেখে গেলেন একমাত্র কন্যা ফারহিন খান জয়িতা এবং অসংখ্য গুণমুগ্ধদের।
তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। সুরতীর্থ নামে একটি সঙ্গীত প্রশিক্ষণ দলও গঠন করেন তিনি৷ সেখানে তিনি পরিচালক ও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।