NE UpdatesBarak UpdatesBreaking News
বরাকে আরেকটি বিমানবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের! বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী
২৭ জুলাই : বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা আসামের অভিন্ন অঙ্গ। এই দুটি উপত্যকা একসঙ্গে মিলে কাজ করলে আসাম বিশ্বের বুকে উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ ও সবকা বিশ্বাস’ নীতির মাধ্যমে রাজ্যে এমন পরিবেশের সূচনা হয়েছে। এই নীতির মাধ্যমে বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় সম উন্নয়নের জন্য আসাম সরকার দায়বদ্ধ রয়েছে। শনিবার আসাম বিধানসভার অধ্যক্ষের বিশেষ উদ্যোগে বরাক উপত্যকার আর্থসামাজিক বিকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল এ মন্তব্য করেন।
বরাক উপত্যকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে আসাম সরকার সুপরিকল্পিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী সনোয়াল বলেন, শিলচরে মিনি সচিবালয় নির্মাণের জন্য আসাম সরকার ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হওয়ার পাশাপাশি বরাক উপত্যকার মানুষ কম সময়ের মধ্যে উন্নত মানের সেবা লাভ করতে সক্ষম হবেন। তাসত্ত্বেও বরাক উপত্যকার সঙ্গে সামগ্রিকভাবে রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করার জন্য অসামরিক পরিবহণ বিভাগ এই উপত্যকায় একটি নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই পদক্ষেপ আসাম থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন পথ খুলে দেবে।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বরাকবাসীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস আরও সুদৃঢ় করা তথা বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে নমামি ব্রহ্মপুত্র উৎসব সফলভাবে আয়োজন করার ঠিক পরেই বরাকের তিনটি জেলায় নমামি বরাক উৎসব আয়োজনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাজ্য সরকার। এই উৎসবের মাধ্যমে বরাক উপত্যকার সম্পদ ও সম্ভাবনা তথা ঐতিহ্যকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
ঐতিহাসিক সিপাহী বিদ্রোহের সময় করিমগঞ্জে দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মবলিদান দেওয়া বীর শহীদদের স্মৃতি রোমন্থন করে মুখ্যমন্ত্রী সনোয়াল বলেন, এই শহীদদের স্মৃতি সবার মনে জাগরিত করে রাখার জন্য সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এর অঙ্গ হিসেবে ভারত পাকিস্তান ওয়াঘা সীমান্তের মতো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের করিমগঞ্জে অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব প্রেরণ করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। ইতিমধ্যে রাজ্য উদ্ভাবনী ও পরিবর্তন আয়োগ-এর মাধ্যমে ‘ডিসকভারি অব আসাম’ নামে একটি বই প্রকাশের পদক্ষেপ আসাম সরকার নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন সর্বানন্দ সোনোয়াল। তাঁর কথায়, এই বইটির মাধ্যমে আসামে লুকিয়ে থাকা শক্তিগুলো চিহ্নিত হবে এবং রাজ্যের উন্নয়নে এগুলো অনুঘটক রূপে কাজ করবে।