Barak UpdatesBreaking News
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কি আদৌ থেমেছে, প্রশ্ন গুরুচরণ কলেজের সেমিনারে
৩০ নভেম্বরঃ ১৯১৪ সালের জুলাইয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। শেষ হয় ১৯১৮-র ১১ নভেম্বর। ঠিক একশো বছর পর সেই যুদ্ধের দিকে ফিরে তাকাল শিলচর গুরুচরণ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। ড. স্বরূপা ভট্টাচার্যের স্বাগত ভাষণ থেকে সু্মিতা ভট্টাচার্যের ধন্যবাদ জানানো—সবেতেই উঠে এসেছে এক স্লোগান। যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। কিন্তু আদৌ কি শান্তির পথে হাঁটতে পারছি? আমরা কি প্রতি মুহূর্তে যুদ্ধের দিকেই এগোচ্ছি না? যুদ্ধশেষের শতবর্ষ পালন করা হচ্ছে বটে, কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কি প্রকৃত অর্থে শেষ হয়েছে? প্রশ্ন তুলেছেন সেমিনারের মুখ্য বক্তা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জয়তী ভট্টাচার্য।
চতুর্থ যতীন্দ্ররঞ্জন দে স্মারক বক্তৃতায় তিনি বলেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের রেশ ধরেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। আজও যে মধ্য প্রাচ্যের তেলের লড়াই বা ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের বিবাদ সবকিছুর মূলে ওই ১৯১৪-১৯১৮। জয়তীদেবী বলেন, আসলে ১০০ বছর আগে যুদ্ধ মেটেনি, স্থিতাবস্থা জারি হয়েছিল মাত্র। সে জন্য তিনি লিগ অব ন্যাশনকে দায়ী করেন। তাঁর কথায়, সে সময় এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি নিজেদের দায়িত্ব পালনে পুরো ব্যর্থ হয়েছিল। ফলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যে বাজার দখলের লড়াই শুরু হয়েছিল, তা আজও অব্যাহত রয়েছে। সাম্রাজ্যবাদীরা একই কায়দায় অন্যকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সেখান থেকেই জয়তীদেবীর পর্যবেক্ষণ, বর্তমান বিশ্বে যে সব জটিল সমস্যা রয়েছে, সেগুলির জন্ম হয়েছিল আসলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়।
কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি জ্যোতিলাল চৌধুরী অবশ্য আশাবাদী, এখন আর মুহূর্তে যুদ্ধ বাঁধবে না। কারণ প্রায় প্রতিটি দেশ সামরিক শক্তি মজবুত হয়ে উঠেছে। পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সংখ্যাও কম নয়। কলেজের অধ্যক্ষ ড. বিভাস দেবও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী অর্চিস্মিতা রায় নৃত্য পরিবেশন করেন। এই বছরের স্নাতক পরীক্ষায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণদের এ দিন পদক প্রদান করা হয়। পুরস্কৃত করা হয় কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের।