NE UpdatesBarak Updates

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চোখের জলে শেষ বিদায় শহিদ শম্ভু রায়কে

৬ এপ্রিল : অগণিত জনতার চোখের জল ও বুক ভরা বেদনায় শেষ বিদায় নিলেন ধর্মনগর ভাগ্যপুর গ্রামের ছেলে বীর শহীদ শম্ভু রায়। মঙ্গলবার ধর্মনগরে কয়েক হাজার জনতার ভিড় শহীদের প্রতি আন্তরিকতার এক নজির সৃষ্টি করল। প্রসঙ্গত শনিবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে নকশাল হামলায় শহীদ হন দেশের বীর সন্তান তথা ধর্মনগরের ছেলে শম্ভু রায়। রবিবার তার শহিদ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা রাজ্যের সঙ্গে ধর্মনগরেও শহীদ শম্ভু রায়ের বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন ও প্রিয়জনেরা তাঁকে শেষ দেখা দেখতে অধীর অপেক্ষায় ছিলেন। শহীদ কে অন্তিম শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। দীর্ঘ অপেক্ষার পর মঙ্গলবার সকাল ৮.১০ মিঃ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে শহীদ শম্ভু রায়ের দেহ রাজ্যের মহারাজা বীর বিক্রম বিমান বন্দরে আসে ।বিমানবন্দরে তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক এবং আগরতলায় থাকা সিআরপিএফের উচ্চ আধিকারিকরা। সেখান থেকেই শম্ভু রায়ের কফিন বন্দি দেহ সিআরপিএফের সুসজ্জিত গাড়িতে করে সড়কপথে ধর্মনগরে উদ্দেশে রওনা হয়।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ধর্মনগরের উদগ্রীব জনতা শেষ দেখা দেখার জন্য গোটা শহরে ভিড় জমান।  দুপুর ১ টা নাগাদ শহীদের মরদেহ নিয়ে ধর্মনগরে আসে সিআরপিএফের গাড়ি। প্রায় দুই সহস্রাধিক বাইক র‍্যালির মধ্য দিয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে মরদেহ সমেত তাঁর নিজ বাসভবন ধর্মনগর ভাগ্যপুর এলাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। শবদেহের গাড়ির সাথে সাথে পায়ে হেঁটে প্রায় কয়েক হাজার জনগণ ভিড় জমায় শম্ভু রায়ের বাড়ি সংলোগ্ন -১৬৬ নম্বর বিএসএফ ব্যাটেলিয়ানের ময়দানে। সেই ময়দানে শহীদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জ্ঞাপনের সাথে সাথে শহীদের কফিনে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিআরপিএফ এর ডিজি সৎপাল রাওয়াত, শ্রদ্ধা জানান ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন, জেলাশাসক নাগেশ কুমার, মহকুমা শাসক কমলেশ ধর, রাজ্যের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী।

এছাড়া শ্রদ্ধা জানান সিআরপিএফের বিভিন্ন আধিকারিক সহ বিএসএফ আধিকারিক ও শম্ভু রায়ের বাবা দীপক রায় সহ পরিবার পরিজনেরা। সেখান থেকেই শহীদের দেহ বাড়ির সম্মুখে দাহ করে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় । সিআরপিএফ ডিজি সৎপাল রাওয়াত জানিয়েছেন, শম্ভু রায় ২১০ ব্যাটেলিয়ান সিআরপিএফের কোবরা কামান্ডো হিসেবে কাজ করতেন । তিনি আসাম ব্যাটেলিয়ানে ছিলেন। আচমকা ছত্তিশগড়ের নকশালিদের প্রতিরোধ করতে তাদের আসাম থেকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নকশালীদের সাথে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করতে গিয়ে শম্ভু রায় শহীদ হয় ।গোটা দেশেই নকশালীদের আক্রমণে একইসাথে প্রায় ২২ জন জাওয়ান এর মৃত্যু হয় । আগামীতেও শহিদের পরিবারের সাথে উনারা থাকবেন বলে আশ্বাস দেন ডিজি সতপাল রাওয়াত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker