India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় এলেই ১০ লক্ষ চাকরি দেবে মহাজোট!
১৮ অক্টোবর : নির্বাচনে জিতে রাজ্যে ক্ষমতায় এলে বেকার যুবক-যুবতীদের ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেবে বিরোধী মহাজোট। বিহার নির্বাচনের আগে মহাজোট এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি কৃষিঋণ মকুব, বিদ্যুতের দাম কমানোর মতো একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। বিহারকে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়ার প্রসঙ্গে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেছেন, ‘নীতীশ কুমার ১৫ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও রাজ্যকে এখনও বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তো আর এখানে এসে সেই মর্যাদা দেবেন না।’ তাঁরা যে এই ‘বিশেষ মর্যাদার’ বিষয়টিকে ইস্যু করবেন, তাও বুঝিয়ে দেন তেজস্বী। বেকার যুবকদের মন জয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মহাজোটের ইস্তেহারে। শনিবার এই ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়। কংগ্রেস, আরজেডি ও জোটের শরিক বামদলগুলির নেতারা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন।
তেজস্বী বলেন, বিহারে মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর প্রথম কাজই হবে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ। সরকারি কোনও পদ শূন্য থাকবে না। এছাড়াও কৃষি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় আইন বাতিল করতে বিহার বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই বিল পাশ করা হবে। ‘পন হমারা, সঙ্কল্প বদলাও কা’ নামে প্রকাশিত ইস্তেহারে বলা হয়েছে, বিহারে মহাজোটের সরকার তৈরি হলে সরকারি চাকরির পরীক্ষার ফিজ মকুব করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাড়া সরকার দেবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা দূর করার দিকে নজর দেওয়া হবে। এছাড়া স্মার্ট গ্রাম প্রকল্পে প্রতি পঞ্চায়েতে চিকিত্সক, প্রশিক্ষিত নার্স নিয়ে চিকিত্সা কেন্দ্র খোলা হবে। গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পে ২০০ দিনের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
মহাজোটের ইস্তেহার নিয়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি বলেছেন, ‘যারা অর্থের বিনিময়ে চাকরি দিয়েছিল, আজ তারা চাকরির কথা বলছে! এরা শুধু ঘোষণাই করতে পারে, বিহারবাসীকে কিছুই দিতে পারে না।’ অন্যদিকে আরজেডি-র অভিযোগ, আগের বিধানসভা নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি নীতীশ সরকার। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে মহাজোট বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হলে জোট সরকার বিহার বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই কেন্দ্রের তিনটি ‘কৃষি-বিরোধী আইন’ বাতিল করার জন্য একটি বিল পাশ করবে। সুরজেওয়ালা বলেছেন, বিহারে বিজেপি তিনটি জোট করেছে! প্রথমটি বিজেপি-জেডি(ইউ) জোট, যে জোটের কথা তারা ঘোষণা করেছে। এছাড়াও আড়ালে জোট রয়েছে লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি-র সঙ্গে। একইভাবে আসাদুদ্দিন ওয়েইসির দলের সঙ্গেও বিজেপি-র গোপন আঁতাত রয়েছে। বিজেপি অবশ্য কংগ্রেস নেতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।