AnalyticsBreaking News

নাগরিকত্ব/১৬ঃ দাবি উঠেছিল আবেদনপত্র সহজতর করার
Citizenship/16: Demand was raised to make the application form very simple

(যৌথ সংসদীয় কমিটির অনুমোদন লাভের পর নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ২০১৬ গত ৭ জানুয়ারি লোকসভায় পেশ হয়। ধ্বনিভোটে পাশও হয়ে গিয়েছে এটি। এ বার রাজ্যসভায় ওঠার কথা ছিল। শেষপর্যন্ত তা আনাই হয়নি। তবে সংসদে সুযোগ না থাকলেও বাইরে এ নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকবে। এই প্রেক্ষিতে যৌথ সংসদীয় কমিটি যে ৪৪০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট দিয়েছে, ওয়েটুবরাক পুরো রিপোর্ট ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে চলেছেআজ এর ষোড়শ কিস্তি।)

২৮ ফেব্রুয়ারিঃ ১৭. নাগরিকত্বের জন্য সব শর্ত পূরণ করে যারা আবেদন করেছেন, তাদের যেন অহেতুক হয়রানি না করা হয়। ১৮. পাকিস্তান থেকে এসে যারা ভারতীয়কে বিয়ে করেছেন, তারা নাগরিকত্ব প্রাপ্তিতে নানা সমস্যায় ভুগছে। ১৯. যারা পর্যাপ্ত নথি ছাড়াই নাগরিকত্বের আবেদন করেছিল, তাদের আবেদন পত্র ফিরিয়ে দেওয়া হোক এবং নতুন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হোক। ২০. ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বহু মাতাপিতা তখন আয়োজিত সেনা শিবিরে নাগরিকত্বের জন্য অরিজিনাল কাগজপত্র জমা করেছিলেন, কিন্তু তাদের জীবদ্দশায় না মঞ্জুর হয়েছে নাগরিকত্ব, না কাগজপত্র ফিরে পেয়েছেন। এখন মাতাপিতার মৃত্যুর পর তাদের হাতে প্রমাণপত্র না থাকায় সমস্যায় ভুগছে। এই ধরনের ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ হোক। ২১. মেয়াদ ফুরনো বা বৈধ পাকিস্তানি পাসপোর্টকে সিটিজেনশিপ সার্টিফিকেট প্রদানের ক্ষেত্রে সঠিক নথি হিসেবে গ্রহণ করার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হোক। কারণ বহু গরিব মানুষ দিল্লির পাক দূতাবাসে গিয়ে ফি জমা করতে পারেনি। ২২. হিন্দু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব বা দীর্ঘকালীন ভিসার কাজে নিয়োজিত পুলিশ কর্তাদের নাম, ফোন নম্বর মাইগ্রেন্টস অ্যাসোসিয়েশনে দিয়ে রাখা দরকার। ২৩. নাগরিকত্ব প্রদান প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্য গুজরাটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জেলাশাসকের অফিস, ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার ও মাইগ্রেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে নিয়মিত সভা হোক। ২৪. নাগরিকত্ব আইনের ৫(১) ও ৬(১) ধারার সময়সীমা সকল প্রকার পাক হিন্দু উদ্বাস্তুদের জন্য ৫ বছর হোক। ২৫. ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৫(১)(সি) ধারার ন্যূনতম বসবাসের সময় ৭ বছর থেকে কমিয়ে ২ বছর করা হোক। ২৬. উদ্বাস্তুরা আবেদনপত্র জমার পর সময়মত খবরাখবর পাওয়ার জন্য কালেক্টরের অফিসকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। ২৭. নাগরিকত্বের জন্য আবেদন পত্র সহজতর হোক। ২৮. নাগরিকত্বের জন্য আবেদন পত্রের ভাষা ও কালেক্টরেটের অফিসে কথাবার্তায় যে সমস্যা হয়, তা থেকে রেহাইর জন্য কাউন্সিলর বা কমিশনার নিয়োগ করা উচিত। ২৯. নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার একটিই নিয়ম থাকা দরকার। বর্তমান রীতিতে পরিবারের কর্তা প্রথম নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তাঁর আবেদন মঞ্জুর হলেই অন্য সদস্যরা আবেদন জানান। এর বদলে এক আবেদন সবার জন্য গৃহীত হোক। ৩০. নাগরিকত্ব প্রদানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বরের নির্দেশ অন্য জেলাশাসকের মত রাজকোটের জেলাশাসককেও ক্ষমতা প্রদান করা উচিত। ৩১. অনলাইনে আবেদনের বেলায় বিশেষ করে ডকুমেন্ট আপলোডে উদ্বাস্তুদের বড় সমস্যায় ভুগতে হয়।

English text here

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker