India & World UpdatesBreaking News
নাগরিকত্বঃ অসমাপ্ত জেপিসি বৈঠকে নয়া বিতর্কJPC Meeting inconclusive, new debate surfaces
সভাপতি রাজেন্দ্র আগরওয়াল মোট ১৩টি সংশোধনী প্রস্তাবকে আলোচনার জন্য গ্রহণ করেছেন। অর্ধেক-মাত্র এ দিন চর্চায় এসেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ধর্ম ও দেশের কথা উল্লেখে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, যে কোনও দেশ থেকে যে কোনও ধর্মের মানুষ যদি নির্যাতিত হয়ে ২০১৪-র আগে ভারতে এসে থাকে, তবে তিনি নাগরিকত্বের আবেদন জানাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সাধারণ নিয়মে ১২ বছর অপেক্ষার কথা থাকলেও তাঁকে ৬ বছর পরই নাগরিকত্ব দেওয়া হতে পারে।
শিলচরের কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেবও তৃণমূলের এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। তাঁর নিজেরও অবশ্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব রয়েছে। তিনি নাগরিকত্ব আইনের ৬(ক) ধারায় সংশোধন দাবি করেন। তাহলেই অসম চুক্তি লঙ্ঘনের কথা বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অরাজনৈতিক সংগঠন যে আপত্তি তুলছে, তা আর ধোপে টিকবে না। দ্বিতীয়ত, বিলটিকে আইনে পরিণত করতে হলেও তা জরুরি বলেই তিনি মনে করেন। বর্তমান অবস্থায় ৬(ক) ধারাটি এই বিলের পরিপন্থী হতে পারে বলেই তাঁর আশঙ্কা। সে নিয়ে অবশ্য এ দিন বিস্তৃত আলোচনায় হয়নি। অন্য আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে, অসমকে বাদ দিয়ে বিল ফেরত পাঠানোর জন্য। বিলপন্থী জেপিসি সদস্যদের বেশ কয়েকজন বলেন, অসমেই যেহেতু বিল বিরোধিতা তীব্র, তাদের বাদ দিয়ে বিলটি পাশ করিয়ে নেওয়া হোক। তবে এ নিয়েও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব হয়নি। ফলে অসমাপ্ত অবস্থাতেই বৈঠক শেষ হয়।
তবে চেয়ারম্যান আগরওয়াল আশা করছেন, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার আগে নাগরিকত্ব বিলের ওপর রিপোর্ট পেশ সম্ভব হবে। তিনি বলেন, একমাস ধরে চলবে অধিবেশন। ওই সময় জেপিসি ঘন ঘন বৈঠকে বসবে, আলোচনা করবে। এটি তড়িঘড়ি সেরে নেওয়ার বিষয় নয় বলেই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁকে উদ্ধৃত করে একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, প্রয়োজনে ভোটাভুটিতেও যেতে হতে পারে। পাশাপাশি তিনি সবাইকে জেপিসি বৈঠকের কার্যবিবরণী নিয়ে বাইরে মুখ খোলার ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। বলেন, এ গোপনীয় বিষয়। এর কিছু প্রটোকল রয়েছে।