Barak UpdatesBreaking News
নভেম্বরে তিন জেলায় মহামিছিলের ডাক সিআরপিসিসি-রCRPC calls for grand rally in 3 districts in November
২ অক্টোবর : শুধুমাত্র বাতিল পাঁচটি নথিকে মান্যতা দেওয়াই নয়, প্রমাণ হিসেবে যে কোনও নথি গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া ১০ শতাংশের নথি পুনরায় পরীক্ষা করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনআরসি কর্তৃপক্ষ, তাও বাতিল করতে হবে।
মঙ্গলবার এই দাবি নিয়ে সরগরম হয়ে উঠল নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটির ধর্না মঞ্চ। এদিন শিলচরে ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে ধর্নার আয়োজন করে সিআরপিসিসি। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই ধর্নায় সমন্বয় কমিটির নেতারা একের পর এক হুংকার দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, যেহেতু এখনও কোন নথি গ্রাহ্য হবে তা চূড়ান্ত নয়, তাই প্রপত্র পূরণ করে আবেদন আপাতত স্থগিত রাখা হোক।
সিআরপিসিসি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য এ দিন জানিয়ে দেন, শিলচর করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে পুজোর পর মহামিছিল বের করা হবে। ১৩ নভেম্বর শিলচরে, ১৫ নভেম্বর করিমগঞ্জে, এবং ১৭ নভেম্বর হাইলাকান্দিতে মহামিছিল হবে। অভিযোগ করে তিনি অারও বলেন, আগে একের পর এক আলোচনার মাধ্যমে ১৫টি নথি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন প্রক্রিয়া কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ করে পাঁচটি নথি কীভাবে বাতিল করা হল। এটি আসলে এনআরসি ছুট বাঙালিদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার এক চক্রান্ত।
কংগ্রেস নেতা সীমান্ত ভট্টাচার্য এ দিন ধর্না মঞ্চ থেকে বার বার শাসক বিজেপি দলকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কীভাবে বাঙালিদের উইপোকার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। পাঁচটি নথি বাতিল করার পরও এ ব্যাপারে টুঁ শব্দটি করছে না শাসক দল।
প্রাক্তন বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভূঁইয়া অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তারা ক্ষমতায় এলে ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেবেন। কিন্তু বর্তমানে তার বদলে ডিটেনশন ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এসব অন-অসমীয়াদের রাষ্ট্রহীন করার চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়।
এ দিন ধর্না কর্মসূচিতে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। এদের মধ্যে ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের পক্ষে আশিস ভৌমিক, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি মেমোরিয়াল স্বার্থ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি হারাণ দে, আকসার কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা রুপম নন্দী পুরকায়স্থ, সঞ্জীব দেবলস্কর, দীপংকর চন্দ, সৌরীন্দ্র কুমার ভট্টাচার্য প্রমুখ।