CultureBreaking News

দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের চণ্ডীপাঠ নতুন মাত্রা এনে দিল, লিখেছেন শিল্পী চক্রবর্তী

//শিল্পী চক্রবর্তী//

শুধু চণ্ডীপাঠ বলব কেন, মহালয়া শব্দটির সঙ্গেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। কয়েক প্রজন্ম ধরে ওই দিনে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কণ্ঠে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র ভাষ্যপাঠ শুনে শুনে আমাদের কান অভ্যস্থ। এই জায়গায় অন্য কাউকেই আমরা মেনে নিতে পারি না। এমনকি মহানায়ক উত্তমকুমারও মহালয়ার প্রভাতে বাঙালি-মন জয় করতে পারেননি। সেখানে শিবা মিউজিকের প্রযোজনায় ঠিক মহালয়ার আগে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র ভাষ্যপাঠ করা আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর না হলে কারও পক্ষে সম্ভব নয়। বলিষ্ঠ সাংস্কৃতিক কর্মী দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায় সাহসিকতার সঙ্গে সেই কাজটাই করলেন। আমি বলব, সার্থকতার সঙ্গে করেছেন।

দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ সেদিন মনোযোগ সহ শুনছিলাম, আর আমার বারবার মনে হচ্ছিল, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে বেশকিছু জায়গায় কী অদ্ভুত রকমের মিল। আর শুরুতে মহালয়া সম্পর্কে যে গৌড়চন্দ্রিকা দেওয়া হয়েছে, তাও কী সুমধুর গলায় সুচিন্তিতভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বলতে হয়, প্রচলিত একটা অনুষ্ঠানকে নতুন রূপে পরিবেশন করে দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায় ও শিবা মিউজিক প্রশংসার যোগ্য কাজটিই করলেন। তবে ভিডিওগ্রাফিতে অল্পবিস্তর পরিবর্ধন-পরিমার্জন হলে আরও এক ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ কয়েক যুগ শ্রোতা-দর্শকদের আনন্দ দেবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker