Barak UpdatesAnalyticsBusinessBreaking News
দুর্নীতি ঠেকাতে অসমের বনবিভাগে অনলাইন চালু
বনবিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত করতে উদ্যোগী হলেন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। চালু করলেন অন-লাইন রেভেন্যু সিস্টেম। এখন বিভাগের যাবতীয় রাজস্ব সংগ্রহ, নিলাম বণ্টন, বালু-পাথর-কাঠ সংগ্রহে অনলাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনও বনজ বা খনিজ সম্পদের রাজস্ব আদায় আর নগদে বা চেকে হবে না। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল আজ শিলচরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ই-সিস্টেমের উদ্বোধন করেন।
এই সিস্টেমের আসলে তিনটি বিশেষ দিক রয়েছে। প্রথমত, প্রয়োজনীয় অর্থ অনলাইনেই জমা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, অনলাইনেই পারমিট ইস্যু হবে। অর্থাত কোথা থেকে কতটা বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা হচ্ছে– সিস্টেমে প্রকাশ করা হবে। তৃতীয়ত, যে গাড়িতে কাঠ বা বালু-পাথর বহণ করা হবে, তাতে জিপিএস যোগ করা হবে। কোন গাড়ি, কোন পথে, কোথায় যাচ্ছে, তা যে কেউ জানতে পারবেন। পোর্টালটি হল http://assamforestonline.in
অসমে বালু-পাথর-কাঠ সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ছিল। জাল চালান, ভুয়ো পারমিটের কথা হামেশা শোনা যেতো। একবার এক অনুমতি মিললে তা-ই চলত দিনের পর দিন। ই-সিস্টেমে সে সব আর সম্ভব হবে না। কারণ যে সব জায়গা থেকে বালু-পাথর সংগ্রহ করা হয়, সেগুলিকে ই-ফেন্সিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। কোনও গাড়ি এর ভেতরে ঢুকলে বা বেরোলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এসএমএস পৌঁছে যাবে। পারমিটের অতিরিক্ত সামগ্রী বহণ করলে বেজে উঠবে অ্যালার্ম।
শুধু তাই নয়, আগে উন্নয়নের নামে বহু বনজ সম্পদ জাতীয় সড়ক ধরে পাচার হয়ে যেত। বর্তমান ব্যবস্থায় তাও বন্ধ হবে আশা করছেন বিভাগীয় মন্ত্রী, অফিসাররা। কারণ এখন পূর্ত, রেল, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বা পুরসভাকে প্রয়োজনীয় বনজ বা খনিজ সামগ্রীর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ডিএফও এর যৌক্তিকতা বিচার করে অনলাইনেই পারমিট ইস্যু করবেন। কতটা জিনিস কোন গাড়িতে বহণের পারমিট মিললো, তা ওয়েবসাইটে জানানো হবে। তা আবার যে কেউ দেখতে পারবেন।
এইসব কাজে যে সব অফিসার-কর্মীদের স্বাক্ষর প্রয়োজন, তাঁদের ডিজিটাল সিগনেচার তৈরি করা হয়েছে। ইনডেন্ট, রয়েলিটি পে অর্ডার, পারমিট ইত্যাদিতে ওই সিগনেচার ব্যবহার করা হবে। কাছাড়ে এটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালু করায় এখানকার বনবিভাগই সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মী, নিয়মিত ঠিকাদার ও বিডারদের প্রশিক্ষণ দেবে। আগামী ১ অগস্ট বনবিভাগের এই অনলাইন সেবা অর্থ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে।
আসাম ইলেকট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড (অ্যামট্রন) এই ই-সিস্টেম তৈরি করেছে। এর আগে তাঁরা পরিমলবাবুর আরেক দফতর আবগারি বিভাগেও অনলাইন ব্যবস্থা চালু করে।