NE UpdatesAnalyticsBreaking News
দুই বছর ৮ মাসে সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরলেন হিমন্ত
গুয়াহাটি, ১ জানুয়ারি : বিগত ২০২৩ সালের রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সফলতার কথা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও জানালেন তিনি। নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে দিসপুর জনতা ভবন চত্বরে থাকা লোকসভা ভবনে ‘নতুন দিনের আলাপ’ শীর্ষক এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে তিনি রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদ প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
দু বছর আট মাস অতিক্রম করা মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত সময়ে ১১২টি ক্যাবিনেট বৈঠক অনুষ্ঠিত করেছে। এই ক্যাবিনেট বৈঠকগুলোতে ১৫১৩টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৭০টি সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে বলে জানুয়ারির প্রথম দিন উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, বর্তমান সরকার দিসপুরের বাইরে ১৩টি ক্যাবিনেট বৈঠক করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানিয়েছেন, ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পর্যায়ে ২৬১টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকগুলোতে ৩২৮৯টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তাছাড়া বিগত বছরে রাজ্যের বিজেপি সরকার জনগণের কাছে পৌঁছতে পেরেছে বলে এদিন দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আরও দাবি, ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের প্রত্যেকেই আশি শতাংশ জেলা ভ্রমণ করার চেষ্টা করেছেন এবং প্রত্যেকে নিজের বিভাগের কাজকর্ম বুঝে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
হিমন্তবিশ্ব আরও বলেন, বিগত বছরে রাষ্ট্রপতি উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের অনেকে এই রাজ্য সফরে আসেন। গত বছরটিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাড়কারি রাজ্যে দুবার এসেছিলেন। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা একবার আসেন। দেশের অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারমনও একবার এসেছেন। তাছাড়া ৮৩ বার সচিব পর্যায়ের আধিকারিকরা অসম ভ্রমণে এসেছেন। গত বছরের এপ্রিল মাসে বিহু নৃত্যে বিশ্ব রেকর্ড গড়া থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে খেল মহারণে ২৭ লক্ষ লোকের অংশগ্রহণ করাকে গত বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০২৪ সালের পয়লা জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেন যে, বর্তমানে রাজ্যে পরেশ বরুয়া গোষ্ঠী ছাড়া আর কোন সক্রিয় উগ্রপন্থী সংগঠন নেই। রাজ্যে ১১টি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অস্ত্র ছেড়ে ৩৮৪২ জন লোক জীবনের মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। তাছাড়া বিগত বছরটিতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব নিদর্শন দেখা গিয়েছে।