Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
ডিলিমিটেশন : হঠকারী সিদ্ধান্তের পেছনে রহস্য কী ? প্রশ্ন তমালের
ওয়ে টু বরাক, ২ জানুয়ারি : ডিলিমিটেশনের অজুহাত দেখিয়ে বরাক উপত্যকার তিন জেলার সীমানা পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে কংগ্রেস। শিলচর জেলা কংগ্রেসের পক্ষে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৩১ ডিসেম্বর আসাম সরকার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বরাক উপত্যকার তিন জেলার ভৌগোলিক অবস্থান পরিবর্তন করে। সেই সময় এই পরিবর্তনকে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু কংগ্রেস সেই পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য করে দেখেছে, কাটিগড়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় ১০/১১টি রাজস্ব গ্রামকে করিমগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এতোদিন এই এলাকার জনগণ প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য কাছাড় জেলার সদর হিসেবে শিলচর শহরে এসেছেন। শিলচর শহরের সঙ্গে এই এলাকার সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে।
কংগ্রেস আরও বলেছে, এই পরিবর্তনের ফলে বাসিন্দাদের ৪০ কিলোমিটার দূরে করিমগঞ্জ যেতে হবে। অনুরূপভাবে গনিরগ্রাম, দুধপুর এলাকা, যা শিলচর শহর থেকে মাত্র ১২/১৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছে, সেইসব স্থানকে হাইলাকান্দি জেলার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। হাইলাকান্দি জেলার বোয়ালিপার অঞ্চল হাইলাকান্দি শহরের একদম নিকটবর্তী। কিন্তু সেইসব স্থানকে কাছাড় জেলার সঙ্গে সংযুক্ত করা হলো। করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর এলাকার বৃহৎ অংশকে কাছাড় জেলার সঙ্গে সংযুক্ত করে বরাক উপত্যকার তিন জেলার জনগণকে হয়রানির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
শিলচর জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি তমাল কান্তি বনিক বলেন, এক রাতের মধ্যে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে রহস্য কী থাকতে পারে। যদি পরিবর্তন করতে হয়, তবে এই সব এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল সহ জনগণের মতামত নেওয়া কি উচিত ছিল না ? তিনি এ বিষয়ে সরকারের স্পষ্টীকরণ দাবি করেন।
তমাল কান্তি বলেন, বরাক উপত্যকায় শাসক দলের দু’জন নির্বাচিত সাংসদ সহ ছয় জন বিধায়ক এ ব্যাপারে নীরব কেন ? বরাক উপত্যকার জনগণের উৎকন্ঠা নিরসনে সরকারের উচিত এর মূল কারণ জনসমক্ষে নিয়ে আসা। অন্যথায় এর পেছনে গভীর কোনও রহস্যের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।