NE UpdatesAnalyticsBreaking News
ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃত ২৮ জনের মধ্যে মাত্র তিনজন বাংলাদেশের, বিধানসভায় মন্ত্রী পাটোয়ারি
১ ডিসেম্বর : অসুস্থতার জন্য রাজ্যের ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃত্যু হওয়া ২৮ জনের মধ্যে মাত্র তিনজন বাংলাদেশি রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের সংসদীয় পরিক্রমা বিভাগের মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি। এ দিন আসাম বিধানসভার অধিবেশনে বিধায়ক উৎপল দত্তের এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন মন্ত্রী। মন্ত্রী পাটোয়ারি বলেন, ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃত্যু হওয়া বাসুদেব বিশ্বাস, নগেন দাস ও দুলাল মিয়া তাদের ঠিকানা বাংলাদেশের দিয়েছিলেন। এই তিনজন বাংলাদেশি ছাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃত্যু হওয়া অন্য ২৫ জন লোক অসমের বিভিন্ন জেলার ঠিকানা দিয়েছেন বলে মন্ত্রী জানান।
ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃত্যু হওয়া লোকদের পরিবারকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে পাটোয়ারি বলেন, এ ধরনের কোনও ব্যবস্থা নেই। পাটোয়ারি আরও বলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আসামে অধিক সংখ্যক ডিটেনশন ক্যাম্প স্থাপন করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী থাকা মানুষের মৃত্যুর প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদী কার্যসূচি গ্রহণ করা হয়। কয়েকটি ক্ষেত্রে মৃতের পরিবারের লোকজন সরকারের কাছ থেকে মৃতদেহ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।
এ দিকে বিধায়ক দুর্গা ভূমিজ এক লিখিত প্রশ্নে জানতে চান, আসামের প্রতিবেশী রাজ্য মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ এবং মিজোরামে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পর আসামের বাসিন্দাদের কেন সেই রাজ্যগুলোতে এনআরসির তথ্যপাতি দেখাতে বাধ্য করা হচ্ছে? কেউ তথ্যপাখি দেখাতে না পারলে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেও বিধায়ক জানিয়েছেন। বিধায়কের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি জানিয়েছেন, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ ও মিজোরামে অসম থেকে যাওয়া লোকদের এনআরসিতে নাম না থাকায় তথ্য দেখাতে বাধ্য করার কোনও খবর রাজ্য সরকারের কাছে নেই। তাছাড়া মেঘালয় থেকে ২২৩ জন লোককে তাড়িয়ে দেওয়ার কোনও তথ্য সরকারের কাছে আসেনি বলে উল্লেখ করেন।