Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
চড়ুই পাখির সংরক্ষণ নিয়ে করিমগঞ্জ কলেজে সচেতনতা
ওয়ে টু বরাক, ২৪ মার্চ ঃ চড়ুই পাখির সংরক্ষণ নিয়ে করিমগঞ্জ কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে শুক্রবার এক সচেতনতা সভার আয়োজন করা হয়। সবসময় মানুষের বসবাসের পাশেই বাসা করে থাকা মানুষের প্রিয় ছোট্ট পাখি চড়ুই। কিন্তু মানুষের সংখ্যা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় তৈরি হচ্ছে বড় বড় অট্টালিকা। তৈরি হচ্ছে বড় বড় শপিংমল। যার ফলে কমতে শুরু করেছে চড়ুই এর সংখ্যা।
এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে করিমগঞ্জ কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত হয় চড়ুই সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির এই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ড. রামানুজ চক্রবর্তী, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রধান ড. প্রদীপ কুমার নাথ, অভ্যন্তরীণ গুণমান নির্ধারণ কোষের সমন্বয়ক তথা পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. সুজিত তিওয়ারি, সুব্রত দাস ও শুভাশিস রায়চৌধুরী।
বিভাগীয় প্রধান ড. অনুপ দে জানান, বাঘ, সিংহ বা অন্য প্রাণীর মতো সেইভাবে চড়ুইয়ের সংখ্যা মাপার চেষ্টা হয়নি কখনও, বা চড়ুইকে নিয়ে সংরক্ষণ সম্পর্কিত তেমন কিছু ভাবাও হয়নি। ফলে কিছুটা অবহেলিত থেকে গিয়েছে চড়ুই পাখিরা। তাই তাদের সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যক্ষ রামানুজ চক্রবর্তী ছোটবেলা থেকে গ্রাম্য জীবনের এক অবিচ্ছেদ অঙ্গ হিসেবে চডুই পাখির কথা উল্লেখ করেন ।
ড. সুজিত তেওয়ারি বলেন, ১৯৬০ সালে চিনে চডুই পাখিকে সামগ্রিকভাবে নির্মূল করার ফল ভুগতে হয়েছিল। প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন। কারণ চড়ুই পাখি আমাদের খাদ্যচক্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তিনি চড়ুই পাখির সংরক্ষণে এগিয়ে আসা করিমগঞ্জ কলেজের ছাত্রদের প্রয়াসকে সাধুবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তব্য রাখেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত দাস। তিনি বলেন, চাষবাসের সময় বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম তথা কীটনাশক ব্যবহারের ফলে চড়ুই পাখির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। একই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বরিষ্ঠ অধ্যাপক প্রদীপ কুমার নাথ। তিনি বলেন, আমরা জৈবিক স্যার ব্যবহার করে অনেককেই রক্ষা করতে পারি। মানুষকে সচেতন করার কোন বিকল্প নেই।
চড়ুই পাখির সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে প্রকল্প উপস্থাপন করেন কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কিছু অভিনব উপায়ের কথা ভাবার উপদেশ দেন অধ্যাপক শুভাশিস রায়চৌধুরী।