Barak UpdatesBreaking News
চ্যাংদোয়ারে অসহায় ৫০ পরিবার, ত্রাণ নিয়ে হাজির সক্ষম
১৩ এপ্রিলঃ লকডাউনের দরুন চরম অসহায় অবস্থায় তাপাং ব্লকের চ্যাংদোয়ার এলাকার ৫০ পরিবার। অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া এলাকা। প্রতিটি পরিবার দিনমজুর, ঠিকা কর্মী। প্রত্যেক ঘরের রসদ ফুরিয়েছে। হাতে নেই টাকাপয়সাও। খবর পেয়ে সক্ষম ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাশে দাঁড়ায় একে একে বেশকিছু সংগঠন, স্ংস্থা। ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে সাহায্য করতে চাইলেন। সকলের প্রচেষ্টায় একদল স্বেচ্ছাসেবী গত রবিবার সেখানে গিয়ে প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিলেন রেশনসামগ্রী, ওষুধপত্র।
সক্ষমের প্রধান কর্মকর্তা মিঠুন রায় বিশেষভাবে উল্লেখ করেন দন্ত চিকিতসক পূরবী চৌধুরী, গুরুচরণ কলেজের শিক্ষক মৃদুলমোহন দাস, মহুয়া সেন, শৌভিক দাসচৌধুরী, আরাধনা দাস সিকিদার, জুলি নাথ এবং অসীম ভট্টাচার্যের কথা। সঙ্গে জুড়েন রোটারি গ্রিনল্যান্ড ও জনশিক্ষণ সংস্থানের ভূমিকা। তিনি জানান, ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যচর্চাও হয় সেখানে। চিকিতসক হিসেবে পরামর্শ দেন সক্ষমের সভাপতি প্রসেনজিত ঘোষ ও এনএমও-র বরাক উপত্যকা সাংগঠনিক সম্পাদক রঞ্জনা ধর।
সক্ষমের দক্ষিণ আসাম কমিটি এবং এনএমও-র পক্ষ থেকে রক্তাল্পতা ও দুর্বলতার শিকার মহিলাদের মধ্যে আয়রন ও ভিটামিন ট্যাবলেট প্রদান করা হয়।ওই এলাকার দেড় শতাধিক জনের ওইদিনের দুপুরের খাবারের আয়োজন করে রোটারেক্ট ক্লাবের জিসি কলেজ শাখা। ওই প্রত্যন্ত এলাকায় এতসব সামগ্রী পৌঁছে দিতে স্বেচ্ছায় এগিয়ে যায় রাইজিং ইয়ুথ সোসাইটির পিনাক রায়, রাহুল রায় ও বিশ্বজিত রায়। সক্ষমের পক্ষ থেকে ওই কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন সহেলি দেব, লিপি দাম কানুনগো, শর্বাণী পাল কর, আয়ূষী বিশ্বাস ও মানস সিংহ।
সক্ষমের রবিবারের দিনলিপি সেখানেই শেষ হয়ে যায়নি। সন্ধ্যায় তারা যান চেংকুড়ি পঞ্চায়েত অফিস এলাকা ও ইটখলা স্বামীজি রোডে। চেংকুড়িতে ৭জন দিব্যাঙ্গ ও স্বামীজি রোডে ১০টি দুস্থ পরিবারে রেশনসামগ্রী প্রদান করেন।