Barak Updates
চোখের জলে আর দৃঢ় অঙ্গীকারে মলিন স্মরণ সংবাদকর্মীদের
চিত্র সাংবাদিক থেকে নিজের অজান্তেই সাংবাদিক হয়ে উঠেছিলেন মলিন শর্মা। নানা দিক থেকে সঙ্কট তাঁকে ঘিরে থাকত। কিন্তু হাসিতে সে সব ধরতে দিতেন না। সময়জ্ঞান ছিল অত্যন্ত প্রখর। দায়বদ্ধতার জায়গায় আর দশজনের চেয়ে তিনি ছিলেন পৃথক। এ দিন বারবার এই কথাগুলিই ঘুরে ফিরে আসে।
ইলোরা হেরিটেজে আয়োজিত এই স্মরণসভায় শুধু সংবাদপত্রের জগতের সঙ্গে পেশাগতভাবে জড়িয়ে থাকা ব্যক্তিবর্গই নন, মলিন শর্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহরের বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এমনকী, করিমগঞ্জ থেকে ছুটে আসেন সর্বধর্ম সমন্বয় সভার প্রতিনিধি বর্গ। তারা মলিন শর্মার স্মৃতিতে একটি শোকবার্তা প্রয়াতের স্ত্রী-কন্যার হাজতে তুলে দেন। দীপায়ন চক্রবর্তী-সঞ্জীব রায় বলেন, মলিনবাবু যে সকলের কত প্রিয় ছিলেন, মৃত্যুর পর তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সব মত-পথের মানুষ একযোগে বেরিয়ে বলছেন, তিনি আমাদের অতি ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বক্তব্য রাখেন ইলোরা হেরিটেজের কর্ণধার স্বর্ণালি চৌধুরীও। এমনকী, কাছাড় পুলিশও প্রতিনিধি পাঠায় শোকসভায়। ডিএসপি (সীমান্ত) অনলজ্যোতি দাস মলিনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ দেন, বক্তব্য রাখেন। তাঁরা ঘাতক ট্রিপারটিকে শনাক্ত করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না বলেই দাবি করেন। তাঁর এই কথায় অবশ্য উপস্থিত সংবাদকর্মী, সাধারণ জনতা আশ্বস্ত হতে পারেননি। শুরু থেকে সভার শেষ পর্যন্ত সবাই এতদিনেও টিপারচালককে ধরতে না পারার জন্য পুলিশ কর্তাদের তীব্র সমালোচনা করেন।
এ দিন স্মরণসভার শুরুতেই সবাই প্রয়াত মলিন শর্মার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন। পরে বক্তব্য রাখেন জ্যোতিলাল চৌধুরী, তৈমুর রাজা চৌধুরী, অসীম দত্ত, বিকাশ চক্রবর্তী, পার্থ ভট্টাচার্য, তমোজিত ভট্টাচার্য, দেবাশিস সোম, দিলীপ সিং, সঞ্জীব সিং, মাসুম আহমেদ, এআর লস্কর, অভিজিত ভট্টাচার্য, দিলু দাস প্রমুখ।