Barak UpdatesBreaking News
খাগড়াগড় মামলাঃ গুমড়ায় ধৃত জঙ্গি জবিরুলকে ১০ বছরের জেল
৩০ আগস্টঃ খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় ৬ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে কাটিগড়ার গুমড়া থেকে ধৃত জহিদুল ওরফে জবিরুল ওরফে হাবিবুর রহমানও। গোয়েন্দা সূত্রে নিশ্চিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর গুমড়ায় হানা দেয়। এক টায়ার মেরামতির দোকান থেকে জবিরুলকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর আসাম মডিউলের প্রধান জবিরুল ইসলাম ছাড়াও এই মামলায় ১০ বছরের সাজা হয়েছে শেখ রহমতুল্লা (বাংলাদেশি) সাদিক ওরফে সুমন (বাংলাদেশি), লিয়াকত আলি ওরফে রুবেল (বাংলাদেশি), লাল মহম্মদ ওরফে লাল্টু এবং সহিদুল ইসলাম ওরফে শামিমের। জবিরুল মূলত বাংলাদেশেরই নাগরিক।
আবদুল হাকিম, আমজাদ আলি শেখ ওরফে কাজল, শাহানুর আলম ওরফে ডাক্তার, রেজাউল করিম ওরফে আনোয়ার, হাবিবুর রহমান ওরফে নুর আলম, গিয়াসুদ্দিন মুন্সি, মোফাজ্জল আলি ওরফে লাদেন, আবুল কালাম ওরফে আবদুল কালাম, আবদুল ওয়াহাব মোমিন এবং নুরুল হক মণ্ডল ওরফে নইমের ৮ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। এ ছাড়া গুলসোনা বিবি, আলিমা বিবি, সাইকুল ইসলাম খানের কারাদণ্ডের মেয়াদ ৬ বছর। বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশও দিয়েছেন।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর মহাষ্টমীর দিন বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল শাকিল গাজি নামে এক ব্যক্তির। গুরুতর আহত হয় করিম শেখ নামে আরও এক জন। প্রথমে জেলা পুলিশ, পরে সিআইডি এবং সব শেষে এনআইএ ঘটনার তদন্তভার নিয়েছিল। ঘটনার পিছনে বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবির নাম জড়ায়। বিস্ফোরণের পর ওই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হয় গুলসানা বিবি ওরফে রাজিয়া এবং আলিমা বিবি নামে দুই মহিলা।
তদন্তে নেমে এনআইএ মোট ৩১ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে ১৯ জন আদালতে নিজেদের দোষ কবুল করে নেয়। তাদেরই এ দিন সাজা ঘোষণা করে নগর ও দায়রা আদালত। বাকি ১২ জনের বিচারপ্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।