Barak Updates
কয়লা সিন্ডিকেট, বিধায়ক-এসপি সংঘাত প্রকাশ্যে
দিলীপ পাল-প্রদীপ দত্তরায়রা অভিযোগ করেন, বৈধ নথি থাকলে গাড়ি ছাড় পায় না। কাগজপত্র না থাকলে টাকা দিয়েই সব পার পেয়ে যায়। রাকেশ রৌশনের যুক্তি, তাহলে আর মেঘালয় সীমান্তে লাইন ধরে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, এর পরও কখনও কিছু গাড়ি কাগজপত্র ছাড়া বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই সড়ক ধরে দিগরখাল হয়ে কাছাড়ে ঢোকে অন্তত এক হাজার গাড়ি। সমস্ত গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো সম্ভব নয়। তত পুলিশও নেই তাঁর হাতে। এমনটা করতে গেলে জাতীয় সড়কে ভিড় মাত্রা ছাড়াবে। তাই সন্দেহ হলেই দাঁড় করানো হয়। এ ছাড়া, গোয়েন্দা রিপোর্ট পেলে মুহূর্তে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাঁরা।
তাঁর বিরুদ্ধে পছন্দের ইনচার্জকে দীর্ঘদিন সেখানে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তাও রাকেশবাবু আজ খণ্ডন করেন। বলেন, ছবিটা আসলে পুরো ভিন্ন। গেটে এত কড়া ডিউটি। এমন কষ্ট করতে হয় যে, গুমড়ায় কেউ থাকতে চান না। ফলে কিছুদিন পরপর ইনচার্জ বদলাতে হয়। তাঁর কথায়, ব্যক্তিস্বার্থে অনেকে বদনাম রটান। কিন্তু সে সবে আমি দমবার নই। কয়লা সিন্ডিকেট আমি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব।
পুলিশ সুপারের দাবি, সিন্ডিকেট রাজের বেলায় তিনি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলেন। তাই গত তিনমাসে কয়লা পাচার নিয়ে ১০টি মামলা হয়েছে। ১৫টি গাড়ি আটকানো হয়েছে। ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইভাবে সার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা হয়েছে। ২৮টি গাড়ি আটকানো হয়েছে। ধৃতের সংখ্যা ৩০। মাদক পাচার নিয়েও বলেন, কাছাড়ে কেউ রেহাই পাচ্ছে না। অনেক মাদক দ্রব্য ধরা পড়েছে। গ্রেফতারও হয়েছেন বহু।
এত সিন্ডিকেটের কথা বললেও পুলিশ সুপার বার্মিজ সুপারি নিয়ে কোনও সিন্ডিকেটের কথা অস্বীকার করেন। তাঁর কথায়, কোথাকার সুপারি,তা জানি না। তবে যত সুপারির গাড়ি কাছাড়ের রাস্তা পেরোয়, সবই বৈধ কাগজপত্র নিয়ে চলাচল করে।