India & World UpdatesBreaking News
কলকাতার ব্রিগেডে বিরোধী মহাজোট, বিজেপি উৎখাতে হাতে হাত
১৯ জানুয়ারি : লোকসভা ভোটের আগে কলকাতায় ব্রিগেডের মঞ্চটি যেন ঐক্যবদ্ধ বিরোধী জোটের ছবি। এই মঞ্চে কে নেই, বিজেপি বিরোধী দেশের প্রথম সারির তাবড় তাবড় সব নেতার দীর্ঘ লাইন। হাতে হাতে রেখে মোদি সরকারকে হটিয়ে দেওয়ার ডাক দিলেন দেবেগৌড়া, শরদ যাদব, অখিলেশ যাদব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, স্ট্যালিন, চন্দ্রবাবু নাইডু, শরদ পাওয়ার, ওমর আবদুল্লা, কুমারস্বামী, ফারুক আবদুল্লা সহ আরও বহু নেতা। তবে এই বিরোধী মহাজোটের সমাবেশে সোনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধী উপস্থিত থাকতে না পারলেও সোনিয়ার পাঠানো চিঠি পড়ে শোনান দলের বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। আর এই মহা সমাবেশ থেকেই সবাই নতুন জোট গড়লেন, ঐক্যবদ্ধ ভারতের ছবি তুলে ধরতে নাম দিলেন ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’।
বিজেপি বিরোধী নেতারা এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে মোদি সরকারের বিভিন্ন নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁদের কথায়, গত ৫ বছর ধরে দেশে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাঁর জন্য মোদি সরকারের বিভিন্ন নীতিই দায়ী। আর বিরোধীরা একজোট হলে আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে উৎখাত করা অনেক সহজ হবে বলে তারা মত ব্যক্ত করেছেন।
বক্তার সংখ্যা বেশি থাকায় সময়ের আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল সভার কাজ। প্রথম বক্তা হিসেবে ছিলেন তরুণ নেতা হার্দিক প্যাটেল। এরপর জিগ্নেশ প্যাটেল। ঝাড়খণ্ডের নেতা হেমন্ত সোরেনও বক্তব্য রাখেন। এরপর অরুণাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং। প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বললেন, একটি মতাদর্শের বিরুদ্ধে এই লড়াই, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। এক সময়ের বিজেপি সরকারের মন্ত্রী অরুণ শৌরিও কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিলেন। ফারুক আবদুল্লা বললেন, ইভিএম একটি চুরির মেশিন, বিশ্বের কোথাও এই মেশিন নেই। নির্বাচনে এর ব্যবহার রুখতে আমাদের নির্বাচন কমিশন ও দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে হবে। স্ট্যালিন আগামী নির্বাচনকে স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসেবে উল্লেখ করলেন।
মমতার কলকাতায় দেশের প্রথম সারির এই নেতাদের উপস্থিতির ফলে নিরাপত্তা বা কোনও বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি নিতে চায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে সকালেই ব্রিগেডের মঞ্চে হাজির ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। আর নিজে মঞ্চে থাকলেন সঞ্চালকের ভূমিকায়। সভার কাজকর্ম শুরু হওয়ার মুখে একঝাক টলিউড তারকার সঙ্গে মঞ্চে দেখা যায় কবি শ্রীজাতকেও। তিনি একটি কবিতাও আবৃত্তি করলেন। গান গাইলেন ভূমি ব্যান্ডের প্রাক্তন সদস্য সৌমিত্র, নচিকেতা। কবীর সুমন গলা ছেড়ে ধরলেন, ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু, বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে’।