Barak UpdatesBreaking News
কবিতা আছে মিছিলে, মিছিল নেবে না চিলে
রাজীব কর
দুই রাজার মত এক হয়নি, হবে না। আর, আমাদের দেশ তো বহুজাতিক। নীতি এক হওয়ার ন্যূনতম সুযোগটাও গণতন্ত্রের পাঠশালায় কোনওদিন কোনও মাষ্টারমশাই পড়াননি। যদিও আজ গণতন্ত্রের বহুজাতিক মাষ্টারমশাইরাই মানুষের লড়াইয়ে কম্পাসের ভূমিকায়। কী করা উচিত বা উচিত নয়, ওরাই জনগণকে ‘বচন’ দেন, যা আমাদের মত অধম ভাগচাষীরা ‘উবাচ’ মেনে চলি।
বিষয়কে সম্মানিত করতে আজ সন্ধ্যা ৫টায় রাঙ্গিরখাড়ি থেকে শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিলটাকে ‘পরিণত’ করতে যারা আসছেন, তাদের নিয়েই ‘মানুষের জন্য মানুষের মিছিল’ দীর্ঘশ্বাস ফেলার উপাদান তৈরি করুক।।।।।
ব্রহ্মপুত্রের মৌলিক কর্মসূচিতে এমন হয় না। ওরা তা করেন না। কারণ, কারণ-ছাড়াই ওরা মনে করেন, ওরা সংকটে। তাই বাস করেন উগ্র জাতীয়তাবাদী শক্তিশালী জোটে।
বরাকের ভবিতব্য, বাংলাদেশি মধ্যবিত্তের তলানি বুদ্ধির উত্তরাধিকারে। ‘কাঁকড়া’ হচ্ছে আমাদের (বরাকিয়ান) মৌলিক রাশি। তাই তো বরাককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ‘আসাম চুক্তি’তে সফল আসু, এজিপি, কংগ্রেসের ঐক্য। সরকার এবং সদনে প্রয়োগ দপ্তর আছে। আজ আমাদের রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প এবং ডি-ভোটারের নাম করে মানুষের অত্যাচার চলছে রাষ্ট্রশক্তির ছাতার নীচে। স্বচ্ছ ভারতের চোখধাঁধানো বিজ্ঞাপনের ছায়াসত্ত্ব, নিরাপত্তা আর ‘গুড়িয়ে দেবার’ বস্তাপচা প্রতিশ্রুতি ঢাকা আছে নির্বাচনী অপেক্ষায়। অসহায় আমাদের মানুষ, আমাদের রবীন্দ্রনাথ, আমাদের উনিশ। আছে শুধু অসহায় মানুষের আত্মহত্যা, দুশ্চিন্তা, হাহাকার। নিন্দুকেরা বলছে, বরাক-ব্রহ্মপুত্রের সমন্বয় গ্যয়া ঘুনিয়া কি ক্ষেতী মে। সেই সুযোগেই আমাদের আক্রমণে ‘উইপোকা’ও শক্তিশালী।
কে কোন নীতিতে আশ্রিত থাকুক তার মননের সম্পদ হয়ে। আজ মানুষের জন্য মানুষের মিছিল হোক ঐতিহাসিক অনিবার্যতায় মানুষের জন্য মানুষের অংশগ্রহণে।
যোগদিন, ডানে-বামে। নয়নমণি হোক, রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জিতে চাই, সব হিন্দু মুসলমান ভারতীয়র অন্তর্ভুক্তি। প্রামাণ্য হোক ১৫ টি নথি (সুপ্রিম কোর্টের পূর্ব চিহ্নিত অনুযায়ী) সহ আরও যা কিছু।
আজ বিকেলের মহামিছিলে সবাই আসুন সবাইকে নিয়ে, বেঁচে থাকা আর বাঁচিয়ে রাখার মূল্যবোধে।
আর আপনি এলে, কবিতা আছে মিছিলে, মিছিল নেবে না চিলে। সফল হোক উদ্দেশ্য। বিনাশ হোক বিধেয়।।