India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
কবিগুরুর কবিতা উচ্চারণ করে কলকাতার বণিক সভায় ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর
১১ জুন : ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কবিগুরুর কবিতার উদ্ধৃতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলকাতায় অনুষ্ঠিত ৯৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন যুগের ভোর’ কবিতায় কবিগুরু লিখেছেন, “চলায় চলায় বাজবে জয়ের ভেরী–পায়ের বেগেই পথ কেটে যায়, করিস নে আর দেরি।’ কবিতার পংক্তি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘অর্থাত্ প্রতিটি পদক্ষেপ এগিয়ে ঘোষণা করা হবে। চলমান পা একটি নতুন পথ তৈরি করবে। তাই এখন আর দেরি নয়।’
মোদি বলেন, ‘আমাদের উত্পাদন খাতে বাংলার ঐতিহাসিক উত্কর্ষকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। আমরা সবসময় শুনেছি “আজ বাংলা যা ভাবে, ভারত আগামীকাল তা ভাবে। আমাদের এটা থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে এবং একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, এই সভা এমন একটা সময় হচ্ছে, যখন দেশ একাধিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। করোনা তো রয়েছেই, তার সঙ্গে পঙ্গপাল, অসমে তেলক্ষেত্রে আগুন, কিছু এলাকায় ভূমিকম্পের মতো সমস্যা রয়েছে। তবে এই সব সমস্যার সঙ্গে দেশবাসী এক হয়ে লড়ছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী কি পরিকল্পনার কথা বলেন, সেদিকেই ছিল সবার নজর। বাংলার অর্থনীতি, উত্পাদন শিল্প আবারও চাঙ্গা করার বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের উত্পাদন সেক্টরে বাংলার ঐতিহাসিক উত্কর্ষকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। কলকাতা উত্পাদনের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ছিল। আমি মনে করি, কলকাতা আবার দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে। সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধ করার চেষ্টা চলছে, এতে তো পশ্চিমবঙ্গের আরও বেশি লাভ। কারণ এতে এখানকার পাটশিল্পের ব্যাপক লাভ হবে। পশ্চিমবঙ্গে তৈরি পাটের ব্যাগ সারা দেশের মানুষের হাতে থাকলে রাজ্যের বিরাট লাভ হবে।’
ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ এখন একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে। করোনা-আম্ফান-পঙ্গপাল একের পর এক চ্যালেঞ্জ। এইসব চ্যালেঞ্জকে পেরিয়ে যাব উজ্জ্বল ভবিষ্যতে। পরিস্থিতি আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ পেরোবে যে, সে সত্যিকারের বিজয়ী। হার মানলেই পরাজয়, জয়ের সঙ্কল্প করলেই বিজয়। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা কারও থেকে পেছনে নেই। এই বিপদকে আমরা সুযোগে রূপান্তরিত করব। এই সুযোগে আমরা গড়ে তুলছি আত্মনির্ভর ভারত।’