India & World Updates
এ বার অনলাইনে জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ করছে কেন্দ্র সরকার
৯ মার্চঃ দিন কয়েক আগেই জম্মু কাশ্মীরেনিষিদ্ধ হয়েছে মৌলবাদী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামি। ইউএপিএ বা আন-ল’ফুলঅ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্টের আওতায়কাশ্মীর উপত্যকায় এই গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধঘোষণা করে কেন্দ্র। এবার জামাত-ই-ইসলামিরঅনলাইন উপস্থিতিতেও নিয়ন্ত্রণ আনার কথাভাবছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের বক্তব্য, সোশালমিডিয়ার মঞ্চ ব্যবহার করে নিজেদের প্রচারচালাচ্ছে এই গোষ্ঠী। সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুবশিগগির jamaateislamijk.org ওয়ে
কেন্দ্রীয় সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকজানালেন, ‘নিষিদ্ধ করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিচারকদের একটি দল দেখে থাকেন।সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায়জামাত প্রচার চালাচ্ছে বলে খবর রয়েছে।ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিএসএস)এর পক্ষ থেকে পাঁচ বছরের জন্য জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ বৃহস্পতিবারজামাতের টুইটার হ্যান্ডেলে তাদের সিল হওয়াদফতরের একটি ছবি পোস্ট করা হয়। তাদেরশান্তিপূর্ণ জমায়েত এবং ধর্মীয় স্বাধীনতায়হস্তক্ষেপ করে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপেরসিদ্ধান্তকে টুইটারে চ্যালেঞ্জ করেছে জামাত।
প্রসঙ্গত, জামাতের অফিসিয়াল টুইটারহ্যান্ডেলে ৫,৮০০ ফলোয়ার রয়েছে। এইনিষেধাজ্ঞাকে ফেসবুকে ‘অসাংবিধানিক’ এবং‘অগণতান্ত্রিক’ বলে বর্ণনা করেছে জামাত।উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৭৫ সালে দু’বছরের জন্যএবং ১৯৯০ সালে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধকরা হয়েছিল জামাত-ই-ইসলামিকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে জারি করা বিবৃতিতেজানানো হয়েছে, পাকিস্তানের মদতে যেসন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ ঘটানো হয়, তাতেজামাতের হাত রয়েছে। ‘স্বাধীনতার সময়ে যেজামাত-ই-ইসলামি হিন্দ সংগঠনটি তৈরিহয়েছিল, তার সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।১৯৫৩ সালে এরা নিজেদের মতো সংবিধানতৈরি করে নেয়। বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং চরমপন্থীআদর্শে বিশ্বাসী এরা। এবং এদের কারণেইকাশ্মীরে ছড়িয়ে পড়েছে এরকম বিশ্বাস।হিজবুল মুজাহিদিন তৈরির পেছনেও এদের হাতরয়েছে।’