CultureBreaking News
আশিকের গানে মাতল শহর, শ্রেষ্ঠ লোককণ্ঠ পাঞ্চালি
২৬ আগস্ট : সম্মিলিত লোকমঞ্চের শ্রেষ্ঠ লোককণ্ঠ হয়েছেন পাঞ্চালি কর। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন তনুশ্রী দেব। স্বরূপা পাল হয়েছেন তৃতীয়।
সম্মিলিত লোকমঞ্চের শ্রেষ্ঠ লোককণ্ঠ প্রতিযোগিতায় বরাকের বিভিন্ন স্থান থেকে শিল্পীরা অংশ নেন। অবশ্য এই প্রতিযোগিতার জন্য আগে থেকেই অডিশনের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে একের পর এক ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে এই পাঞ্চালি, তনুশ্রী ও স্বরূপাকে সেরা তিন লোককণ্ঠ হিসেবে পান লোকসঙ্গীত প্রেমীরা।
রবিবার শিলচর জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহে তাঁদের হাতে ট্রফি, শংসাপত্র ও নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয় উদ্যোক্তাদের পক্ষে। ঋষিকেশ সাহা, শেফালিকণা সাহা ও রত্না রায়ের স্মৃতিতে ট্রফি সহ নগদ পুরস্কার স্পনসর করেন ড. আশিস কুমার রায়, ড. অনুপ কুমার রায় ও অংশু কুমার রায়। সংস্কৃতি মনস্ক ভাবনা নিয়ে এমন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় লোকমঞ্চের সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল ডোনার পরিবারকে ধন্যবাদ জানান।
লোককণ্ঠ প্রতিযোগিতার বিচারক বাংলাদেশের দেবদাস চৌধুরী রঞ্জন, ধীরঞ্জন চক্রবর্তী, ভাস্কর দাস সহ অন্যরা ছিলেন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। শেষভাগে ছিল বাংলাদেশের যুবা জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত শিল্পী আশিকুর রহমান আশিকের পরিবেশনা। এর আগে ছিল লোকমঞ্চের সমবেত লোকগান। পরিচালনায় মনোরঞ্জন মালাকার। প্রায় দু’ঘন্টা নানা স্বাদের লোকগান শোনান আশিক। ভরিয়ে দেন শ্রোতাদের প্রাণ-মন।
দুটি গান শুনিয়েছেন আশিকের সঙ্গীতগুরু দেবদাসও। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিপ্লব বিশ্বাস ও পরমা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ২৪ ও ২৫ আগস্ট ছিল দুদিনের অনুষ্ঠান। প্রথম দিন ছিল প্রতিযোগিতা।