Barak UpdatesBreaking News
আত্মজীবনী না হলেও সমীরবাবুর বইয়েরই লেখক পরিচিতি
২০১৬ সালে প্রকাশিত সমরেন্দ্র ভট্টাচার্যের ‘বঙ্গীয় লৌকিক ক্রীড়া’ গ্রন্থে লেখক পরিচিতি হিসেবে লেখা হয়েছে—-
লেখক সমরেন্দ্র ভট্টাচার্যের জন্ম ১ এপ্রিল, ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে শিলচর (আসাম) শহরের শ্যামাপ্রসাদ রোডে। পিতা আসামের প্রখ্যাত চিকিতসক ডাঃ ব্রজেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, মাতা হরিপ্রিয়া দেবী। শিলচর সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে একাদশ শ্রেণি (বিজ্ঞান) পরীক্ষায় (১৯৬২ খ্রিঃ) কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে গুরুচরণ কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে স্নাতক (১৯৬৫ খ্রিঃ)। উল্লেখ্য, জেলাতে পদার্থবিজ্ঞানের অনার্সে প্রথম ব্যাচ। পরে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (১৯৬৭ খ্রিঃ) লাভ করে শিলচর নরসিং হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পদার্থবিজ্ঞানের বিষয়শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতায় যোগদান (১৯৭০ খ্রিঃ) করে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করে অবসর গ্রহণ করেন। কর্মজীবনে সান্ধ্য ক্লাশ করে এলএলবি (১৯৭৫) এবং বিটি (১৯৭৮) ডিগ্রি লাভ করেন।অনুভূতিপ্রবণ এই শিক্ষক বহু গরিব মেধাবী ও কৃতি খেলোয়াড়কে ছাত্রাবস্থায় বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন। তাঁর স্নেহচ্ছায়ায় অনেক ছাত্র মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যস্তরে প্রথম দশজনের মধ্যে স্থান পেয়েছিল।
স্কুলজীবন থেকে বইপড়া, খেলাধূলা ও লেখালেখিতে জড়িত। ক্রিকেট, টেবিল টেনিস, টেনিস সুনামের সাথে খেলেছেন। ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে স্কুল, শিলচর স্পোর্টিং ক্লাব, তারাপুর ক্লাব, ইন্ডিয়া ক্লাব এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থাতে সুনামের সাথে বিভিন্ন পদে (সম্পাদক ক্রিকেট, ইন্ডোর, রেফারি ও আম্পায়ার ব্রাঞ্চ, সহ-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, উপসভাপতি) কাজ করেছেন।
ঐতিহ্যবাহী ইন্ডিয়া ক্লাবের এক যুগ ক্রীড়া সম্পাদক পদে থেকে পরে সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। কর্মক্ষেত্রে সাংগঠনিক কাজে জড়িত ছিলেন –সারা আসাম কর্মচারী পরিষদের কাছাড় জেলার সভাপতি পদে ও সারা আসাম হায়ার সেকেন্ডারি সংস্থার জেলা সভাপতি (৩ বার) এবং একই সংস্থার রাজ্যিক উপ-সভাপতি একবার আসীন ছিলেন। ‘শিলচর কলেজ অব এডুকেশন’র প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম—বর্তমানে কলেজটির গভর্নিং বডির সদস্য। ‘বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনে’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ‘বরাক উপত্যকা শিক্ষা সংরক্ষণ সমিতি’র উপসভাপতি পদও অলঙ্কৃত করেছেন। বর্তমানে নরসিং হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি, ঐতিহ্যবাহী স্কুলটির শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সভাপতি পদে থেকে ‘গৌরবের একশো বছর’ উদযাপনে সার্থক নেতৃত্ব দিয়েছেন।
লেখকের ক্রীড়া বিষয়ক গ্রন্থ, উপন্যাস, কবিতা, ছোট গল্প, মহাকাশের উপর লেখা বই, প্রবন্ধ সংকলন ইত্যাদি বারোখানা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৫ই আগস্ট আসাম সরকার লেখককে সাহিত্য পেনশন প্রদান করেছে।
(বইটি ২০১৬ সালে প্রকাশিত। গত দুই বছরে বিভিন্ন পদে তাঁর মেয়াদ ফুরিয়েছে, আবার কোথাও নতুন পদেও অভিষিক্ত হয়েছিলেন। যেমন নরসিং হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে তাঁর ফুরিয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে মাত্র কিছুদিন আগে ইন্ডিয়া ক্লাবের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।)
বঙ্গীয় লৌকিক ক্রীড়া গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানের সংবাদ আনন্দবাজার পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছিল। তার লিঙ্ক দেওয়া হল।
https://www.anandabazar.com/national/book-published-on-local-games-by-samarendra-bhattacharya-1.478126
It’s a terrible loss for the society. He has given presented me some of his books. His first one on local sports has influenced me very much.I have written some articles for Townclub magazine in English. I do pray God for peace of his soul.