Barak UpdatesBreaking News

অর্ধনির্মিত লারাং সেতুর জন্য ভেঙে পড়ছে নদীর পাড়, ক্ষোভ কালাইন ছলিগ্রামে

৬ জুলাইঃ কাটিগড়া বিধানসভা এলাকার লারাং নদীর উপর অর্ধ নির্মিত ছলিগ্রাম সেতুর জন্য ভেঙে পড়ছে নদীর পাড়। ফলে এলাকার কয়েকটি বসতবড়ির গাছ গাছালি স্থান নিয়েছে নদী গর্ভে। ঠিকাদারের অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাজের ফলে নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে বলে অভিযোগ এলাকার জনগণের। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকারবাসী।

এআরএমএফ ফান্ডের আরসিসি ওই সেতুর কাজের দায়িত্বে রয়েছেন দীপক ভূচা নামের জনৈক ঠিকাদার। কাজের শুরুতে এলাকাবাসীর জমি ও গাছপালার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু দেড়বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সেসব কিছুই পাননি এলাকাবাসী। সেতুর দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদার দীপক ভূচা সেতুর কাজও শেষ করছেন না। এদিকে লারাং নদীর জল অসমাপ্ত পিলারে ধাক্কা খেয়ে পুরো নদীর পাড় ভেঙে ফেলছে। অসহায় গ্রামবাসী প্রশাসনের কাছে তাদেরকে রক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন।

কাটিগড়ার বিধায়কের প্রচেষ্টায় কালাইনের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে মৌগ্রাম, ছলিগ্রাম, কৈয়াজানি, ক্রেইগপার্ক, খেলমা ষষ্ঠ, মেজেন্টা, কোনাপাড়া গ্রান্ট, ঘিলাতলি, ভিতরগুল, বোয়ালছড়া খাসিয়াপুঞ্জি সহ আরো কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার জনগনের স্বপ্ন সাকার হওয়ার কথা ছিল। ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এলাকার কয়েক হাজার জনগণের যোগাযোগ ব্যবস্থার শুভকাজের সূচনা করেছিলেন কাছাড়ের তৎকালীন জেলাশাসক এস লক্ষণন ও কাটিগড়ার বিধায়ক অমর চাঁদ জৈন। লারাং নদীর উপর কালাইন ছলিগ্রামে ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৮১ হাজার২৫২ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হতে যাওয়া এআরএমএফ ফান্ডের আরসিসি সেতুর আনুষ্ঠানিক ভাবে শিলান্যাস করা হয়েছিল। পিডব্লিউডি (রুরাল) ডিভিশনের তত্বাবধানে সেতুটির কাজ হবে বলে জানানো হয়। সেতুটির শিলান্যাস অনুষ্ঠানেই উভয় পারের লোকজনদের মনে খুশির ভাব পরিলক্ষিত হয়েছিল।

 

কিন্তু সেতুর কাজ শুরু হওয়ার দিনকয়েকের মধ্যেই কাজের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগ তুলেন এলাকার জনগন। এমর্মে কাছাড়ের জেলা শাসকের কাছে সে সময় একটি স্মারকপত্রও তুলে দেওয়া হয়েছিল। এলাকার জনগনের অভিযোগ ছিল সেতুর কাজে ব্যবহৃত বালু ও পাথর মাটি মেশানো। এলাকাবাসী বিভাগীয় বাস্তুকারের কাছে অভিযোগ জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। এলাকার জনগন প্রশ্ন তুলেছিলেন শুরুতেই কাজের গুণগত মান নিম্নমানের হলে সেতুর স্থায়িত্ব কতটুকু থাকবে। কিন্তু সে সময় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বর্তমানে সেতুটি অর্ধ সমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। সেতুর পিলারে জল ধাক্কা খেয়ে পাড় ভেঙে দিচ্ছে। ফলে মহা সমস্যায় পড়েছেন এলাকার জনগন। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কাছাড়ের জেলা শাসক ও কাটিগড়ার বিধায়কের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker