২৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি জেলা সদরে প্রতিবাদী সভা, ঘোষণা কর্মচারী পরিষদের

গুয়াহাটি, ৯ ফেব্রুয়ারি : নতুন পেনশন ব্যবস্থা বাতিল করে পুরনো পেনশন ব্যবস্থা পুনর্বহাল সহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে সারা আসাম কর্মচারী পরিষদ। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিত হবে এই কর্মসূচি। সারা অসম কর্মচারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দ্বীপেন শর্মা এবং সম্পাদক প্রধান দিলীপ কলিতা সংগঠনের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

তাঁরা রাজ্য কর্মচারীদের আরও কিছু সমস্যার কথাও উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রকল্প কার্যকরী করা, শিক্ষকদের অর্জিত ছুটি বৃদ্ধি করা, প্রতিটি বিভাগে ‘চাকরি সেবা বিধি’ প্রস্তুতকরণ, প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা, বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত কনিষ্ঠ অভিযন্তাদের Ex-cadre পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, একত্রীকৃত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ উন্নীতকরণ, ফিক্স টি এ আদায়, অনুকম্পা মূলক ভাতা এবং পাহাড়িয়া ভাতা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি। ওইদিন বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিিতে ব্যাপক প্রতিবাদী কার্যসূচি রূপায়ণ করা হবে বলেও জানান তারা।

পরিষদের নেতৃদ্বয় জানিয়েছেন, বিগত ৫ ফেব্রুয়ারি গোয়ালপাড়ায় অনুষ্ঠিত সারা অসম কর্মচারী পরিষদের কর্ণধার সমিতির সভায় রাজ্য কর্মচারীদের বহুদিনের সমস্যা সমূহ সমাধানের বিষয়ে সরকার পক্ষ থেকে কোনও সদিচ্ছা প্রকাশ হয়নি। সেইসূত্রে ওই সভায় পরিষদের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তারা বলেন, কর্মচারীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের দাবিতে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় প্রতিটি জেলা সদরে দু ঘণ্টার প্রতিবাদী সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মার্চ মাসে রাজ্যের সকল স্তরের শিক্ষক -শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে বর্ধিত কার্যনির্বাহক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেইসঙ্গে পরবর্তী পর্যায়ে কেন্দ্রীয়ভাবে গুয়াহাটিতে ‘অবস্থান ধর্মঘট’ কার্যসূচি রূপায়ণ করা হবে।

উল্লেখ্য, বিগত ১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য কর্মচারীরা নতুন পেনশন ব্যবস্থা বাতিল করে পুরনো পেনশন ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে রাজ্য ব্যাপী ‘কালো দিবস’ পালন করেন। পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা জানান, বিগত সময়ে সরকারের সঙ্গে পরিষদের আলোচনায় এমন অনেক বিষয়ে সহমত প্রকাশ করা হয়েছিল, কিন্তু অদ্যাবধি এইসব সমস্যার সমাধান হয়নি। মূখ্যমন্ত্রী বহু সমস্যা সমাধানের বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করেছেন, কিন্তু আজ পর্যন্ত বিভাগীয় তরফে কোনও ধরনের কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।