Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
২২-২৩ জুন কাবুগঞ্জ জনতা কলেজের হীরক জয়ন্তী সমারোহ, প্রস্তুতি শুরু
ওয়ে টু বরাক, ৯ জুন : দক্ষিণ কাছাড়ের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাবুগঞ্জ জনতা কলেজ তাদের ৬০তম বর্ষপূর্তিতে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ২২ ও ২৩ জুন উদযাপন করতে চলেছে হীরক জয়ন্তী উদযাপন সমারোহ। এরই পরিপ্রক্ষিতে রবিবার কলেজ প্রাঙ্গণে অধ্যক্ষ ড. দেবাশিস পালের পৌরহিত্যে চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরির উদ্দেশ্যে আয়োজিত হয় এক জরুরি বৈঠক। বৈঠকে কলেজের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী, প্রাক্তনী সমিতির পদাধিকারী সদস্য সদস্যা, শুভাকাঙ্খী সহ বর্তমান কলেজ পড়ুয়ারা উপস্থিত থেকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য প্রায় দেড় মাস আগে সভা আয়োজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উৎসব উদযাপনের দিন নির্ধারিত করা হলেও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। যদিও ৮ এপ্রিল জনতা কলেজ ৬০ বছরে পা রেখেছিল । শেষ পর্যন্ত আগামী ২২ ও ২৩ জুন হীরক জয়ন্তী উদযাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এনিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ তথা হীরক জয়ন্তী উদযাপন সমারোহের আহ্বায়ক মিসেস সুজাতা পালিত জানান, আগামী ২২ জুন হীরক জয়ন্তীর শুভারম্ভ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কাছাড় ক্যান্সার হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ রবি কান্নান। সেই সঙ্গে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর রাজীব মোহন পন্থেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তিনি জানান, এ দিন সকাল ৮টায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হবে। এরপর কলেজের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখা প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে স্মৃতি তর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হবে। তাছাড়াও থাকবে বইমেলা, হ্যাণ্ডলোম, কৃষি, ফুড স্টল সহ বিভিন্ন প্রদর্শনী।
উপাধ্যক্ষ সুজাতা পালিত আরও জানান, প্রথম দিনের কর্মসূচিতে থাকছে হীরক জয়ন্তী প্রতীক ও সেল্ফি পয়েন্টের মোড়ক উন্মোচন, কলেজের তথ্যচিত্র প্রদর্শন। হীরক জয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রয়েছে হীরক জয়ন্তীর স্মরণিকা উন্মোচন। এছাড়াও থাকছে প্যানেল ডিস্কাশন, জানান পালিত।
এদিকে কলেজ অধ্যক্ষ ডঃ দেবাশিস পাল হীরক জয়ন্তী উদযাপন সমারোহের শোভাযাত্রাকে সফল করে তোলার জন্য কলেজের সাথে জড়িত সকল শুভাকাঙ্খী, সমাজের শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, প্রাক্তনী সমিতির সকল কর্মকর্তা, প্রাক্তন শিক্ষক শিক্ষিকা, কলেজ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী ও বর্তমান অধ্যয়নরত সকল পড়ুয়াদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শোভাযাত্রাকে সফল রূপ দিতে শোভাযাত্রা ইনচার্জ হিসাবে শিক্ষাবিদ বিষ্ণু রঞ্জন ধর ও মিহির কান্তি ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে বলে জানান। তাছাড়াও থাকছে বিভিন্ন প্রদর্শনী, তারজন্য শঙ্কর চন্দ, বিক্রম দে ও মুন্না নাথকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান কলেজ অধ্যক্ষ।
তিনি জানান দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রক্তদান শিবির, ওপেন ডিস্কাশন, কলেজ ডকুমেন্টরী প্রদর্শন ও ডিপার্টমেন্টেল ম্যাগাজিনের আবরণ উন্মোচন । তিনি জানান সন্ধ্যায় থাকছে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী বিধান লস্কর ও মঞ্জুশ্রী দাসের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অধ্যক্ষ ড. দেবাশিস পাল জানান উৎসবের অন্তিম দিনে অতিথি রূপে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ডঃ রণোজ পেগু, শিলচরের সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য, সোনাই কেন্দ্রের বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভুঁইয়া সহ অন্যান্যদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। হীরক জয়ন্তী উদযাপন সমারোহকে সফল রূপ দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. সুপ্রবীর দত্তরায়, ভাগাবাজার এম এ লস্কর জুনিয়র কলেজের অধ্যক্ষ বিষ্ণু রঞ্জন ধর, জনতা কলেজ প্রাক্তনী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মিহির কান্তি ভট্টাচার্য প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক যথাক্রমে ড. মুন্নি দেব মজুমদার, ড. ঊষারানি শর্মা, ড. শিরতাজ বেগম লস্কর, ড. ওয়াই প্রফুল্ল সিংহ, ড. লালজুমলিয়েন, ডঃ নিরেন্দ্র সিংহ, মিসেস সোমা ভট্টাচার্য, ড. সুদীপ্তা খেরসা ও ড. রবীন্দ্র সিংহ, জনতা কলেজ প্রাক্তনী সমিতির সহকারী প্রচার সম্পাদক কমলেশ দাশ, সদস্য কমলেন্দু শুক্লবৈদ্য, রূপালী দত্ত, কলেজ লাইব্রেরিয়ান প্রদীপ সিংহ প্রমুখ।