NE UpdatesBarak UpdatesBreaking News

স্নেহস্পর্শ প্রকল্পে ১৫০৯ শিশুকে বিনামূল্যে ৫০ হাজার করে সাহায্য রাজ্য সরকারের

২০ ফেব্রুয়ারি : অসুস্থ শিশুর চিকিৎসায় তাদের অভিভাবকদের হাতে এককালীন অর্থ তুলে দিল রাজ্য সরকার। স্নেহস্পর্শ প্রকল্পের অধীনে ১৫০৯ জন অসুস্থ শিশুর অভিভাবকের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে এককালীন অনুদান তুলে দেওয়া হয়েছে। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সুবিধা প্রাপকদের হাতে অর্থবাবদ এই চেকগুলো তুলে দিয়েছেন। এর পাশাপাশি ওই পরিবারগুলো প্রতিমাসে শিশুর চিকিৎসার জন্য আড়াই হাজার টাকা করে পাবে।

এ দিন মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, দুঃস্থ শিশুদের উন্নত চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে স্নেহস্পর্শ প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে বিজেপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই প্রকল্পের অধীনে কাজ শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, জন্ম থেকে যাদের শ্রবণ শক্তি নেই, হৃদরোগ বা সেরিব্রাল পালসি রোগে আক্রান্ত অথবা যেসব শিশু থ্যালাসেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সারের মতো রোগে ভুগছে, তাদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে হিমন্ত বলেছেন, স্নেহস্পর্শ প্রকল্পের অধীনে এ পর্যন্ত ৮১০০ শিশুর হৃদরোগের অপারেশন হয়েছে ব্যাঙ্গালুরুতে। একইভাবে মিশন স্মাইল এর অধীনে জন্ম থেকে ঠোঁট চেরা বা তালুতে ফুটো থাকা ১৮,৪৪১ শিশুর অপারেশন করে তাদের সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আজকের দিনে জন্ম হওয়া কোনও শিশুর এই রোগ থাকলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হবে। গুয়াহাটিতে সার্জারি করা সম্ভব না হলে তাকে বাইরে কোথাও নিয়ে গিয়ে বিনামূল্যে অপারেশন করা হবে।

তাছাড়া যেসব শিশু ঠিকভাবে কথা বলতে পারে না বা হাঁটতে পারে না, তাদের ফিজিওথেরাপি এবং স্পিচ থেরাপির জন্য সরকার আর্থিকভাবে সহায়তা করবে। এমন প্রায় ২ হাজার শিশুর মা-বাবার সঙ্গে কথা বলে তাদের কাগজপত্র পরীক্ষার পর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এর পরই তাদের ব্যাংক একাউন্টে এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য প্রদান করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also

Close
error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker