Barak Updates

বিজেপির রিমোট হিমন্তের হাতেই
BJP’s remote in Himanta’s hand

৪ জানুয়ারিঃ অসম সরকারের শীর্ষনেতা কে, এই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেকে বলেন, শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবেও সর্বানন্দ সোনোয়ালই মন্ত্রিসভার শেষ কথা। একাংশের বক্তব্য, কবেই সর্বাকে ছাপিয়ে গিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।  সর্বানন্দ শুধুই সই-সিলের মালিক। সরকারের বিতর্ক সরিয়ে রেখেও বলা যায়, অসমে বিজেপি দলের রিমোট কন্ট্রোল আসলে হিমন্ত বিশ্ব শর্মাই। শুক্রবারের জনসভাতেও তা স্পষ্ট ধরা পড়ে। নরেন্দ্র মোদি মঞ্চে ওঠার পর সংবর্ধনা পর্ব সেরে হিমন্তের সঙ্গেই কথা শুরু করেন। তাঁর ডানদিকে বসা সর্বানন্দ তখন দর্শকমাত্র। পরে বক্তৃতা শুরু করেন ড. হিমন্ত। মোদি তখন তাঁর দিকেই তাকিয়ে। যখন চোখ ফিরিয়েছেন, সামনের বিশাল জনতাকেই দেখছিলেন। বিপরীত দৃশ্য দেখা গেল,  যখন সর্বানন্দ সোনোয়াল পোডিয়ামে যান। সারাটি সময় মোদি হিমন্তের সঙ্গেই কথা বললেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর উদ্দেশে নানা প্রশস্তিসূচক বাক্য বললেও মোদি একটিবারের জন্য ও দিকে তাকাননি। বরং হিমন্তের যখন মনে হয়েছে, সর্বানন্দের রাশ টানা প্রয়োজন। বার্তা পাঠিয়েছেন, শেষ করে দিন।

কী এত কথা হল হিমন্ত-মোদিতে, তা বুঝতে অবশ্য বেশি কষ্ট হয়নি। প্রধানমন্ত্রী যখন আসাম চুক্তির ৬ নং ধারার বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেন, আর অসমিয়াদের স্বার্থ সুরক্ষার কথা উল্লেখ করেন, তখনই বোঝা যায়, ভালই পড়িয়ে দিয়েছেন ড. শর্মা।

এর আগে শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পাল রামনগরেই কেন এ বারের সভা, তাঁর ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, মোদিই চেয়েছেন রামনগরে সভা হোক। ২০১৪ সালের সভা রামনগরে হয়েছিল জেনেই তিনি পার্টিকে বলেন, এ বার যেন সেখানে সভা হয়। শ্রীরামের সঙ্গে সভাস্থলের নাম জুড়ে থাকাকে শুভসঙ্কেত বলে উল্লেখ করেন তিনি। উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী মহেন্দ্র সিং রামনগরের জনসমাবেশকে কুম্ভমেলা বলে অভিহিত করেন। তিনি বারবার জয় শ্রীরাম ধ্বনি তোলেন।

দিলীপবাবু এ দিন সুস্মিতা দেবকে একহাত নেন। দিল্লিতে যুবকের কাঁধে চড়ে স্লোগান দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তিনি বরাকের লজ্জা। মোদি সংসদ ভবনে ঢুকেছেন কপাল ঠেকিয়ে প্রণাম করে। আর সুস্মিতা বলেন, বিধানসভা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবেন। এটাই ফারাক। মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হতে চলেছে। সঙ্গে আমাদের রিফ্যুজি অপবাদ ঘুচতে চলেছে।  তিনি সে জন্য মোদিকে ধন্যবাদ জানান। মিজোরামের বিধায়ক বুদ্ধধন চাকমা, অসমের ডেপুটি স্পিকার কৃপানাথ মালাও সভায় বক্তৃতা করেন।

হিন্দু সুরক্ষার ঝুড়ি ঝুড়ি কথার আগেই অবশ্য বক্তৃতা করেন বিজেপির একমাত্র সংখ্যালঘু বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর। তিনি কংগ্রেস মুসলমানদের শুধু ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করত। মোদি সেই জায়গায় মুসলমান নারীদের শিক্ষিত করে তোলার গুরুত্ব দিচ্ছেন।

English text here

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker