Barak UpdatesBreaking News
রাস্তায় মহিলা পিকেটার, স্বতঃস্ফূর্ত বনধই হচ্ছে শিলচরেFemale picketers on the streets of Silchar, bandh spontaneous
৩০ জুলাই : দুর্ঘটনায় চিত্র সাংবাদিক মলিন শর্মার মৃত্যুর প্রেক্ষিতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও ঘাতক টিপারটিকে আটক করার দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের ডাকা শিলচর বনধ মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। ভোর ৫টা থেকে শুরু হওয়া এই বনধ-এ বিভিন্ন সংগঠন সামিল থাকায় এটি স্বতঃস্ফূর্ত রূপ নিয়েছে।
বিশেষ করে এই বনধ-এ মূল ভুমিকা নিয়েছেন শিলচরের মহিলারা। সোমবার মহিলারা কাছাড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে কিছুক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন। এরপরই তারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, বনধ হচ্ছেই। পরে অবশ্য এই বনধ-এ জুড়ে যায় শিলচরের বহু সংগঠন।
মঙ্গলবার সকালেও শহরের স্থানে স্থানে পিকেটারদের দেখা যায়। এদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যাই বেশি। তবে পুরুষরাও বনধ সমর্থনে রাস্তায় নামেন। সকালে দেখা যায়, শহরের ন্যাশনাল হাইওয়ে পয়েন্ট, রাঙ্গিরখাড়ি পয়েন্ট, প্রেমতলা, দেবদূত ইত্যাদি স্থানেও মহিলারা সরব ছিলেন। সকাল থেকে রাস্তায় যানবাহন চলেনি। হাটবাজার, দোকানপাট, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে হাসপাতাল, দমকল, পানীয়জল ইত্যাদি জরুরি পরিষেবায় প্রভাব পড়েনি।
এ দিকে, সকাল সাড়ে দশটায় কাছাড়ের জেলাশাসক কার্যালয়ের সামনেও একইভাবে জড়ো হন মহিলা পিকেটাররা। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাজির হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগদীশ দাস। তিনি আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে নিরস্ত করতে পারেননি।
এরপর জেলাশাসকের নির্দেশে সেখানে ছুটে আসেন ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু এতেও অবস্থার জট খোলেনি। সকাল ১১টায় জেলাশাসকের কনফারেন্স রুমে পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক থাকলেও তা পরবর্তীতে সরিয়ে সার্কিট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বনধকে ঘিরে কোনও উত্তেজনা বা হট্টগোলের খবর পাওয়া যায়নি।