Barak Updates
শিলচরে ৩০০ শয্যার কোভিড আইসিইউ? সরকারি খাতাপত্রে অস্তিত্বই নেই
১৪ জুলাইঃ করোনা রোগী বাড়ছে, বাড়ছে রোগীদের সঙ্কটও। জেলা প্রশাসন তাই করোনা রোগীদের জন্য শয্যা বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতাল নিচ্ছে করোনা চিকিতসার জন্য। অস্থায়ী হাসপাতালও তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ আইসিইউ সংখ্যা বাড়াচ্ছে। কারণ করোনার গতি বড় উদ্বেগের। মৃত্যুর দিক থেকে কাছাড় এখনও স্বস্তিতে থাকলেও রাজ্যের অন্যত্র প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন করোনায় সংক্রমিতরা। এই অঞ্চলেও না অবস্থা বিগড়ে যায়, প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। উপাধ্যক্ষ ডা. ভাস্কর গুপ্ত জানান, মেডিক্যালের আইসিইউ কোভিড রোগীদের জন্য নেওয়ার কথা রয়েছে। আরও কিছু আইসিইউ নিতে হতে পারে। প্রশ্ন হল, কোভিডের জন্য বিভিন্ন বিভাগের আইসিইউ নিতে থাকলে, ওইসব বিভাগের রোগীরা কোথায় যাবেন? পরবর্তী সময়ে ওই বিভাগের মুমূর্ষু রোগী এলে কী করা হবে?
এই সব ভেবেই শুরুতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, শিলচরে একটি ৩০০ শয্যার আইসিইউ নির্মাণ করা হবে। সেখানে শুধু কোভিড রোগীদেরই ভর্তি করা হবে। এটি নির্মিত হলে অবশ্য কোনও বিভাগের রোগীদের আইসিইউ-র সমস্যায় ভুগতে হতো না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শিলচরে এসে মেহেরপুর ঘুংঘুর এলাকার সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন। কোথায় ওই হাসপাতাল নির্মিত হবে, পরবর্তী সময়ে দুই-একদিন স্থানীয় জনতার মধ্যে চর্চা করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রী শর্মা কাছাড় ছেড়ে যাওয়ার পর এ নিয়ে কোথাও টু শব্দটি করেননি। তবে কি পরিকল্পনাটি বাতিল হয়ে গিয়েছে? জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সাত্তায়ান জানান, জায়গাজমি দেখা হলেও শিলচরে কোভিড আইসিইউ হাসপাতাল তৈরির কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বিভাগীয় স্তরে তাঁরা কোনও নির্দেশ পাননি। সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ওই পরিকল্পনা গ্রহণের যেমন সরকারি কোনও চিঠিপত্র নেই, তেমনি বাতিল কিনা, জেলা প্রশাসনের কাছে এরও কোনও লিখিত কাগজপত্র নেই।
শিলচরের সাংসদ ডা. রাজদীপ রায় অবশ্য পরিকল্পনা খারিজের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনা এক বছরের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আর এই ধরনের আইসিইউ হাসপাতাল তৈরির জন্য তিনশো কোটি টাকা খরচ হবে। পরে এত আইসিইউ কোনও কাজে হবে না। অর্থেরই অপচয় হবে।