India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
লালকেল্লায় থাকবে না পড়ুয়ারা, ভিভিআইপির উপস্থিতিও মাত্র ২০ শতাংশ
১৪ আগস্ট : রাত ফুরোলেই দেশের স্বাধীনতা দিবস। লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুলবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু করোনা মহামারির মধ্যে স্বাধীনতা দিবস পালনে অনেক বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। অতিথি সমাগম থেকে অনুষ্ঠানসূচি সবকিছুতেই সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে। জানা গেছে, সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আশপাশে যাঁরা থাকবেন এই মাসের গোড়া থেকেই তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। অনুষ্ঠানেও খেয়াল রাখা হচ্ছে কোনও রকম ঝুঁকি যেন না থাকে।
স্বাধীনতা দিবসের সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রথা মেনে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করবে সশস্ত্র বাহিনী ও দিল্লি পুলিশ। এর পরে জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ২১টি গান স্যালুট। এসবের পরে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণ ও সম্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন। সব শেষে ত্রিবর্ণ বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।
এ দিকে, করোনা আবহের কথা মাথায় রেখে এবার লালকেল্লার অনুষ্ঠানে কোনও স্কুল পড়ুয়া উপস্থিত থাকবে না। শুধুই এনসিসি সদস্যরা উপস্থিত থাকবে। অন্যবারের তুলনায় মাত্র ২০ শতাংশ ভিভিআইপি লালকেল্লায় উপস্থিত থাকবেন। গত বছরও অতিথি সমাগম হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার। অতিথিদের বসার ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নির্দেশিত সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই হবে বসার ব্যবস্থা। প্রতি বছর লালকেল্লায় মূল মঞ্চের দু’পাশে উঁচু সারিতে অনেক অতিথি বসেন। প্রায় ৯০০ ভিভিআইপি অতিথি বসার ব্যবস্থা থাকে। এবারে সেটা একেবারেই থাকছে না। সবারই বসার ব্যবস্থা নীচে থাকবে। ভিভিআইপির সংখ্যাটা খুব বেশি হলে ১০০ হবে।
তবে এ বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইচ্ছা অনুযায়ী হাজার দেড়েক করোনা জয়ী উপস্থিত থাকবেন লালকেল্লার অনুষ্ঠানে। এর মধ্যেও আবার বড় সংখ্যায় করোনাজয়ী পুলিশও থাকবেন। ৫০০ জন পুলিশ ছাড়া বাকি এক হাজার জন আসবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। লালকেল্লায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের পোশাকেও বদল থাকতে পারে। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি খুব কম জনই যেতে পারবেন। আগে থেকেই কারা থাকবেন সেটা ঠিক করে তাঁদের এই মাসের গোড়া থেকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।