India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
রানের পাহাড়ে ইমরান, নয়া পাক-প্রধান
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ। ইমরান খানের নতুন ইনিংস খুব বেশি দিনের নয়। এরই মধ্যে তাঁর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে নিয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর শপথগ্রহণ শুধু সময়ের অপেক্ষা।এর আগেই অবশ্য তিনি তাঁর বহু পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। শুনিয়েছেন জিন্নাহ দেশকে নিয়ে যে রকম স্বপ্ন দেখতেন, তেমনই একটা দেশগঠন তাঁর প্রধান লক্ষ্য। এ প্রসঙ্গে তিনি ঐসলামিক সমাজবাদের নতুন তত্ত্ব সামনে নিয়ে আসেন। বলেন, তাঁর সরকার দরিদ্র জনতার পাশে দাঁড়াবে।তাঁর কথায়, ধনিকশ্রেণির জীবনধারা দিয়ে কোনও দেশের মান বিচার হয় না, তা করতে হয় গরিবদের অবস্থানের নিরিখে। তাই কঠোর শ্রমের পরও যে সব কৃষক উপযুক্ত মজুরি পান না, নতুন প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কথা গুরুত্বের সঙ্গে ভাববেন। দেশের আড়াই কোটি শিশু এখনও স্কুলে যেতে পারে না। তিনি তাঁদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেন।সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে আর যেন মায়েদের প্রাণ দিতে না হয়, সে জন্য স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্ব প্রদানের কথা ঘোষণা করেন ক্রিকেট মাঠ থেকে উঠে আসা রাজনীতিক।দেশবাসীকে বিশুদ্ধ পানীয় জল খাওয়ানোর দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি।
ফলপ্রকাশের পরেই ইমরান জানান, তিনি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চান। শুধু পাকিস্তান নয়, উপমহাদেশের দারিদ্র দূর করতে হলে তা জরুরি বলেই মন্তব্য করেন সম্ভাব্য পাক-প্রধান। তিনি দুই প্রতিবেশীর বাণিজ্যিক সম্পর্কের জায়গায়ও গুরুত্ব দিতে চান।কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও তিনি তাঁর অভিমত প্রকাশ করেন। পূর্বসূরিদের মতো রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ না চেয়ে তিনি নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই ইস্যু মিটিয়ে ফেলারই পক্ষপাতী। তাঁর কথায়, এ মোটেও দুরূহ ব্যাপার নয়। ভারত কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে আন্তরিক হলে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করা যেতে পারে।