Barak UpdatesAnalyticsCultureBreaking News
রাঙ্গিরখাড়ি ডে-লাইট ক্লাবের দুর্গাপুজো এ বার ৬৩ বছরে
শারদীয় পুজো '২৩ : (৭)
ওয়ে টু বরাক, ১৫ অক্টোবর : রাঙ্গিড়খাড়ি ডে-লাইট ক্লাবের পুজো নিউ শিলচর এলাকার সবচেয়ে পুরনো পুজো। ১৯৬০ সাল থেকে এই সার্বজনীন দূর্গা পূজা চলে আসছে। এবারে এই পূজা ৬৩ বছরে পা দিল। শুরুর দিকে এই পূজোয় এতটা জাঁকজমক না থাকলেও আশির দশকের শেষ দিক থেকে বিগ বাজেটের পূজোর আয়োজন করে আসছে।
এবারের পূজোয় প্রতিমা নির্মাণ করছেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র অঙ্কন বণিক। তিনি মূলত কল্পনা থেকেই প্রতিমাটি নির্মাণ করছেন। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি ডে-লাইট ক্লাবের প্রতিমা নির্মাণ করছেন এবং বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি সংস্থা থেকে প্রতিমা নির্মাণের জন্য শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার পেয়েছেন। আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের খেলাধূলার উপকরণ ও চিত্র দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে এবারের মণ্ডপ। মণ্ডপটি তৈরি করছেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সুমিত দাস। আলোকসজ্জায় রয়েছেন মৃণাল দাস ও সাউন্ড সিষ্টেমে রয়েছেন আপ্পা বনিক।
সাধারণত এই পূজোতে দেবীর আরাধনার সঙ্গে সঙ্গে পূজোর পাঁচ দিন ষষ্ঠী থেকে দশমী বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কাজও করে থাকে। আয়োজক কমিটির সভাপতি রাজু দে জানান, স্থানীয় ভোলাগিরি আশ্রমের স্বামী ভূবনানন্দ গিরি মহারাজের হাত ধরেই ষষ্ঠীর দিন এবারের পূজোর মণ্ডপ উদ্বোধন হবে। সহ সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, এবারের পূজোতে ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতা মূলক খেলাধূলার আয়োজন থাকবে এবং নবমী দিন তাদের হাতে ক্লাবের পক্ষ থেকে পুরষ্কারও তুলে দেওয়া হবে। এছাড়াও পূজোর চারদিন থাকবে বিভিন্ন ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা ছাড়াও শহরের বিশিষ্ট শিল্পীরা উপস্থিত থাকবেন।
সম্পাদক বিশ্বজিৎ বনিক বলেন, বিভিন্ন সময়ে যেসব প্রবীণ সদস্যরা ক্লাবের হয়ে কাজ করেছিলেন তাদের এবার উত্তরীয় ও স্মারক দিয়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হবে। প্রাক্তন সম্পাদক প্রণয় ঘোষ বলেন, এবারের পূজোয় আমাদের আসে পাশের মহিলাদের ভূবনেশ্বরী দেবী ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সপ্তমী দিনে নূতন কাপড় বিতরণ করা হবে।
তাছাড়াও ক্লাবের পক্ষ থেকে সপ্তমী ও অষ্টমী দুদিন মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। বিগত দুই তিন বছর করোনা মহামারি এবং বন্যার ফলে পূজার আয়োজনে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। কিন্তু এবছর সেইসব সমস্যা কাটিয়ে আবার পুরনো ছন্দে ফিরে আসার চেষ্টা চলছে। আর এই চেষ্টায় ক্লাবের সব সদস্যরা সামিল হয়েছেন। পূজোর দিনগুলিতে প্রতিমা ও মণ্ডপ দর্শনের জন্য সবার উপস্থিতি কামনা করছেন তারা।