Barak UpdatesCulture
রবিবার ৫ নাটকই হল, সোমবার ৪টি
১৬ ফেব্রুয়ারি: শুরুটা হয়ে গেলেই হল৷ একের পর এক নাটক চলতে থাকে প্রতিযোগিতার শর্ত মেনে৷ রবিবার দ্বিতীয়দিনে পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই ৫টি নাটক পরিবেশিত হয়৷ শিলচরের নবারুণ, করিমগঞ্জের নবদিগন্ত, আগরতলার শিল্পতীর্থ, কলকাতার থিয়েটার প্ল্যাটফরম এবং ধর্মনগরের দর্পণ৷ সোমবার প্রতিযোগিতাতে অংশ নিচ্ছে মোট ৪টি দল৷ কৈলাশহরের নির্ঘোষ নিক্কন, কলকাতার রিষড়া সৃষ্টি, শিলচর মেহেরপুরের নয়া গ্রুপ এবং কোচবিহারের অনাসৃষ্টি৷
প্রথম নাটক হবে নির্ঘোষ নিক্কন-এর রত্নপুরী৷ রচনা ও নির্দেশনা সৈকত দেব৷ অভিনয়ে জয়দীপ শীল, রাজদীপ ঘোষ, মধুমিতা মল্লিক, রেণুপম দেবনাথ, জুহি ঘোষ, শান্তনু দে, সৈকত ভট্টাচার্য, সালাউদ্দিন, চয়ন দে, মাম্পি দাস, কিষান নমঃ ও সৈকত দাস৷
আবহে সঞ্জয় শর্মা৷ রূপসজ্জায় পর্ণা দাসদেব৷
নাটকের বিষয়বস্তু: সর্বদা ক্ষমতাবান মানুষের প্রচেষ্টা থাকে যাতে তারা সব সময় সাধারণ মানুষের ওপর আধিপত্য বজায় রাখতে পারে৷ তারা কখনও চিন্তা করে না, সাধারণ মানুষ কী করে জীবনধারণ করছে৷ তাদের কোনরূপ ইচ্ছাও থাকে না জানার যে, সাধারণ মানুষ বাঁচল কি মরল৷ তারা সদা তাদের অহঙ্কারের সাম্রাজ্য বিস্তার করতে ব্যস্ত থাকে৷ কিন্তু তারা ভুলে যায়, সেই সাধারণ মানুষের একতা তাদের ক্ষমতাকে চিরতরে ধ্বংস করে দিতে পারে৷ এ নিয়েই সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ গল্প অবলম্বনে নির্ঘোষ নিক্কন নাট্যদলের প্রযোজনা রত্নপুরী৷
দ্বিতীয় নাটক রামধাক্কা৷ রচনা বিমল বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পরিচালনা সমিতেশ চ্যাটার্জি৷
নাটকের বিষয়বস্তু: যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ হঠাৎ ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে সমগ্র মানব জাতির শত্রু হিসেবে ঘোষণা করে দাঁত-নখ বের করে সৈন্যসামন্ত নিয়ে ইরাকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন, শয়ে শয়ে হাজারে হাজারে নিরীহ ইরাকি মানুষ মারা যেতে লাগল, ঠিক তখনই আমাদের এই আজব নগরীতে কিছু স্বার্থান্বেষী লোক রটিয়ে দিল, আমেরিকার বোমা কিংবা ইরাকের গোলা এসে পড়তে পারে৷ ঠিক এই সুযোগে একজন বুদ্ধিজীবী ঠগবাজ এক ব্যবসা ফেঁদে বসল৷ স্বাভাবিকভাবেই তার চারপাশে অনেক মানুষ মাছির মতন ঘুরঘুর করতে লাগল৷ কিন্তু সবাই কি সেই একই রকম! না না, সবাই মাছি নয়৷ তাদের মধ্যে মানুষও আছে৷ এই নিয়েই এই নিবেদন৷
তৃতীয় নাটক বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের কমলাকান্তের দপ্তরের “বিড়াল ” অবলম্বনে নাটক “বিড়াল ওরফে মার্জ্জার সুন্দরী।” রচনা ও নির্দেশনা রাহুল দাশগুপ্ত।
প্রযোজনায় নয়া গ্রুপ, মেহেরপুর।
এই নাটকে আমাদের সমাজের গরীব অবহেলিত নিপীড়িত মানুষের প্রতীক হলো “বিড়াল”। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষপটকে সামনে রেখেই এই নাটকের অবতারণা।
সমাজের একদিকে সম্পদের বৈভব আর অন্যদিকে এক বিশাল সংখ্যক মানুষ জীবন জীবিকা থেকে বঞ্চিত । ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্য এই বঞ্চিত মানুষগুলি যখন নানা অন্যায়ের পথ অবলম্বন করে নিতে বাধ্য হয় , তখন রাষ্ট্রব্যবস্থা শাস্তি দিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ অথচ অন্যদিকে একশ্রেণীর মানুষ যখন সাধারণ মানুষকে লুটেপুটে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে তাদের ব্যাপারে রাষ্ট্র নীরব । ভাগ্যের দোহাই দিয়ে গরীব মানুষকে আর কত কাল ভুলিয়ে রাখবে, এই প্রশ্ন নিয়েই এই নাটক । ১৫ জন কলাকুশলী এতে অংশ নেন ।
এ দিনের চতুর্থ তথা শেষ নাটক এক মহিয়ষী নারীকে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়ে কোচবিহার অনাসৃষ্টির প্রযোজনা নিবেদিতা ভিন দেশি তারা৷ রচনা রুমা সাহা দে৷ নির্দেশনা বহ্নিশিখা দে৷ আবহ প্রক্ষেপণ বিশ্বজিৎ বর্মণ৷ আলো গৌরব সাহা৷