Barak Updates
মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় বরাক নেই
তবে ৮ মার্কসের জন্য মেধা তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছে কলেজিয়েট স্কুলের অদ্রিজা নন্দী। অঙ্ক ও প্রাগ্রসর অঙ্ক দুটিতেই সে ১০০ করে পেয়েছে। বিজ্ঞানেও ১০০। সমাজ বিজ্ঞানে ৯৯। ইংরেজি ও হিন্দিতে নম্বর কমে যাওয়াতেই আটকে যায় সে। দুটি বিষয়েই তার প্রাপ্ত নম্বর ৮৮।
শুধু স্থানের দিক থেকেই নয়, পাশের হারেও রাজ্যের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি কাছাড়। সারা রাজ্যের পাশের গড় যেখান ৬০.২৩ শতাংশ, সেখানে কাছাড়ে পাশ করেছে মাত্র ৫০.২৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী। সবচেয়ে নীচে রয়েছে হাইলাকান্দি জেলা। ৩৯.০১ শতাংশ। করিমগঞ্জে ৪৬.৭৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। অভাবনীয় ভালো ফল করেছে ধেমাজি জেলা। পাশের হার ৮৩.২৮ শতাংশ। দ্বিতীয় শিবসাগর ৭০.২ শতাংশ। তৃতীয় নলবাড়ি ৭০.০৮ শতাংশ।
শিলচর সরকারি বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ বার কেউ প্রথম বিভাগে পাশ করতে পারেনি। ৪২ পরীক্ষার্থীতে ২১ জন পাশ করেছে। এর মধ্যে ৮জন দ্বিতীয় বিভাগে।
নরসিং স্কুলে ৯জন প্রথম বিভাগে পাশ করলেও পাশের হার মাত্র ৪২ শতাংশ।
বাংলায় এ বার রাজ্যে সর্বোচ্চ নম্বর উঠেছে ৯৭। সেটি গিয়েছে করিমগঞ্জ পাবলিক হাই স্কুলে।
রাজ্যে এ বার ছাত্ররা ছাত্রীদের চেয়ে বেশি হারে উত্তীর্ণ হয়েছে। ছাত্রদের পাশের হার ৬২.৬৯ শতাংশ। ছাত্রীদের হার ৫৭.৯৯ শতাংশ। মোট ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ২০৩ জন ছাত্রছাত্রী এই বছর পরীক্ষায় বসেছিল। ৪৮ হাজার ৫৯৯জন প্রথম বিভাগে, ৭১ হাজার ২০জন দ্বিতীয় বিভাগে এবং ৮২ হাজার ৮৮৯জন পাশ করেছে তৃতীয় বিভাগে। গত দুই বছরের তুলনায় এ বার অবশ্য পাশের হার সামান্য বেশিই। ২০১৮ ও ২০১৭ সালে ছিল ক্রমে ৫৬.০৪ ও ৪৭.৯৪।