Barak UpdatesHappeningsBreaking News

অযোধ্যা থেকে অক্ষয় পাত্র পৌঁছল বরাকে

ওয়ে টু বরাক, ৮ নভেম্বর : বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তের অধীন সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য অক্ষয় পাত্র বুধবার এসে পৌঁছল বরাক উপত্যকায়। বদরপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন পৌঁছার পর সেখানে অক্ষয় পাত্রকে বরণ করে শিলচর কার্যালয়ে নিয়ে যেতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দক্ষিণ পূর্ব প্রান্ত সভাপতি শান্তনু নায়েক, সম্পাদক স্বপন শুক্লবৈদ্য সহ প্রান্ত স্তরের অন্যান্য কার্যকর্তারা। এসময় স্টেশনে মহিলা যাত্রীরা উলুধ্বনি দিয়ে শ্রদ্ধা ও স্বাগত জানান। এখান থেকে শিলচর পঞ্চানন শিববাড়িতে এই অক্ষয় পাত্র নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ৫ নভেম্বর অযোধ্যা থেকে এই অক্ষয় পাত্র বা কলস নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন ভিএইচপি দক্ষিণ পূর্ব প্রান্ত সহ-সভাপতি বিজিত দাস। এসময় প্রান্ত সভাপতি এবং সহ-সভাপতি জানান, দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তের দুটি উপ প্রান্ত রয়েছে যথাক্রমে ত্রিপুরা উপ প্রান্ত এবং মনিপুর উপ প্রান্ত। ত্রিপুরা উপ প্রান্তে গত ৬ নভেম্বর অক্ষয় কলস বা পাত্র এসে পৌঁছেছে। বিমান বন্দর থেকে ওই পাত্র শোভাযাত্রা করে আগরতলা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনুরূপভাবে বুধবার মণিপুর উপ প্রান্তে আরও একটি অক্ষয় পাত্র পৌঁছেছে। এই অক্ষয় পাত্রে রয়েছে হলুদ, ঘৃত, মধু মিশ্রিত চাল।

উল্লেখ্য, অযোধ্যায় শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরে ভগবান শ্রীরাম চন্দ্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি। ওই সময় উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাধু সন্তরা।
অযোধ্যার শ্রীরাম জন্মভূমি থেকে দেশের সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে। সেইসঙ্গে হলুদ চাল ও রাম মন্দিরের ছবি সংঘ পরিবারের সকল আয়ামের কার্যকর্তাদের দ্বারা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত হিন্দু পাড়ায়, প্রতিটি হিন্দু পরিবারে পৌঁছে দেওয়া হবে।

বুধবার অক্ষয় পাত্র বরণ করার সময় বদরপুর রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের বরাক উপত্যকার বিভিন্ন জেলা স্তরের কার্য্যকর্তারাও। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি কাছাড় জেলা সহ সভাপতি অমিয় কান্তি দাস, বিজেপি নেত্রী শিপ্রা গুণ প্রমুখ।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দক্ষিণ পূর্ব প্রান্ত সম্পাদক স্বপন শুক্লবৈদ্য বলেন, আজ থেকে প্রায় ৪৯১ বছর পূর্ব থেকে অযোধ্যায় শ্রীরাম জন্ম ভূমিতে রাম মন্দিরকে রক্ষা করার জন্য ৭৬ বার সংঘর্ষ হয়েছিল। এই সংঘর্ষে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজারের অধিক রাম ভক্ত প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন। তারপর অনেক লড়াই করার পর, এমনকি স্বাধীনতার পরেও আইনি লড়াই চলতে থাকে। অবশেষে মন্দির নির্মাণের পক্ষে মহামান্য আদালত রায় প্রদান করেন। সত্যমেব জয়তে অর্থাৎ পরিশেষে সত্যের জয় হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker