CultureBreaking News
বিভিন্ন কর্মসূচিতে সম্পন্ন বদরপুরঘাট সাংস্কৃতিক মঞ্চের বার্ষিক অনুষ্ঠান
তাছাড়া, প্রতিদিন আমন্ত্রিত শিল্পী ও বিভিন্ন সংগঠনের পরিবেশনায় নৃত্য, সংগীত ও কবিতায় মনজ্ঞ সন্ধ্যা উপভোগ করেছেন সংস্কৃতিপ্রেমীরা। উপস্থাপনা ছিল আয়োজক সংস্থার শিল্পীদেরও।
রূপক রক্ষিতের পরিচালনায় বদরপুর থিয়েটার ওয়ার্কশপের শিল্পীরা মঞ্চস্থ করেন নাটক ‘চোর ও চুরি’। যা প্রশংসা কুড়ায়। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জয়ন্ত দাস,পীযুষ কান্তি দাস, সুরজিৎ দাস, রাখি দাস, নন্দিতা ভট্টাচার্য,অনামিকা কর্মকার, সিতাংশু রায়, আবৃত্তি করেন স্বপন কুমার দাস, রনজয় দাস ও ভাস্কর দেব। কবি,সাহিত্যিক সহ সমাজের বিশিষ্টজনেদর উপস্থিতিতে সফলতা পায় সাংস্কৃতিক উৎসব। অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রদীপ প্রজ্বলন ও পতাকা উত্তোলনের মধ্যেমে। এতে অংশ নেন সাংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি ডা: স্বপন দাস, সম্পাদক সিতাংশু রায়, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অরুণ কর্মকার, শ্যমলাল তুষনিয়াল, সোমশুভ্র দাস, পীযুষকান্তি ব্যানার্জি প্রমুখ। প্রদীপ প্রজ্বলন শেষে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় উদ্বোধনী সঙ্গীত। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশিষ্ট সাহিত্যিক গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. শিবতপন বসু ও সংস্কৃতি কর্মী বাপ্পি সাহার স্মৃতিচারণ সভা হয় এই মঞ্চে।
এতে ড.বসুর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন ডা:স্বপন কুমার দাস । বলেন, সাহিত্য ও ইতিহাস গবেষণায় ব্যপক অবদান রেখে গেছেন ড. শিবতাপন। তিনি ছিলেন একজন সুপরিচিত এবং পড়ুয়াদের জনপ্রিয় শিক্ষক।শিক্ষাবিদ হিসেবে ও তাঁর অবদান ব্যাপক। আর তিনি এই সাংস্কৃতিক মঞ্চের সঙ্গে জড়িতও ছিলেন। জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় শহিদ হওয়া সিআরপিএফ জওয়ানদের স্মৃতিতে তিনদিনের অনুষ্ঠান উৎসর্গ করেন উদ্যোক্তারা।
প্রথম দিনের প্রতিযোগিতা মুলক অনুষ্ঠানে ছিল রবীন্দ্র নৃত্য, নজরুল নৃত্য, বসে আঁকো ইত্যাদি।পরের দিন ছিল রবীন্দ্র, নজরুল, লোক সঙ্গীত প্রতিযোগিতা। শেষের দিন যোগাসন, তবলা, আবৃত্তি দিয়ে শেষ হয় প্রতিযোগিতা মুলক অনুষ্ঠান। তবে উৎসবে জি বাংলার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ রিয়ালিটি শো’র আদলে হওয়া মেধাশ্রী প্রতিযোগিতা বিশেষ নজর কেড়েছে।
গুণীজন সংবর্ধনা পর্বে সাহিত্যিক বিকাশ দে, আন্তর্জাতিক ভার উত্তোলক রাখি শর্মা ও উদীয়মান ক্রীড়া প্রতিভা পুষ্পা চক্রবর্তীকে সম্মান জানানো হয়। এনসি কলেজের অধ্যক্ষ মর্তুজা হোসেন, ড. অরুণ চন্দ্র সেন, সৌরভ পুরকায়স্থ, নাট্যাভিনেতা রূপক রক্ষিত, সঞ্জয় সেনগুপ্ত সহ আরও বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন উৎসবের কদিন।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন সুব্রত চক্রবর্তী, শুভ্র জ্যোতি দে, সর্বশ্রী নাথ, স্বপ্না সাহা, রাহুল চক্রবর্তী, সুরজ মুখার্জি, অমিতাভ কর্মকার, সোম শুভ্র দাস,বিভাস মালাকার ও সুধাংশু মোহন দাস।
বলতে গেলে শিশু, কিশোর-কিশোরীদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক চেতনার বিকাশ সহ যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করাতেই এম আয়োজন করে থাকে সাংস্কৃতিক মঞ্চ। ফলে, সবমিলিয়ে বলা যায়, সম্মিলিত প্রয়াসে বদরপুর ঘাট সাংস্কৃতিক মঞ্চের বার্ষিক উৎসব পুরোটাই সফল।