Barak UpdatesBreaking News
বিধায়ক দিলীপ পালের বাড়ি ঘেরাও করে এ আইডিএসও-র বিক্ষোভ
ফি মুকুবের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের প্রতিলিপি পোড়াল ছাত্ররা
২৯ জুন : ‘ব্যাক’ থাকা ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ফি মকুবের সিদ্ধান্ত আসাম সরকার প্রত্যাহার করায় শনিবার শিলচরের বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রসংস্থা এআইডিএসও। প্রতিবাদী ছাত্ররা এ দিন বিধায়ক দিলীপ কুমার পালের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিলিপি পোড়ায়।
আসাম সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সারা রাজ্যে তীব্র আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এআইডিএসও। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছাত্ররা তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তুলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ জুন এআইডিএসও’র আহ্বানে সারা আসামে ক্লাস বয়কট কার্যসূচি পালন করে ছাত্ররা।
শনিবার শিলচরে সংগঠনের পক্ষ থেকে আসাম সরকারের ফি মকুবের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ফলে যাদের আগামীতে পড়াশোনা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে তাদের নিয়ে শিলচরের বিধায়ক দিলীপ কুমার পালের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভ চলাকালে সেখানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক গৌরচন্দ্র দাস, জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ পল্লব ভট্টাচার্য প্রমুখ।
তারা বলেন, এই সর্বনাশা সার্কুলার প্রত্যাহার করার দাবি যাতে শিলচরের বিধায়ক বিধানসভায় তুলে ধরেন এই আবেদন জানাতে তারা বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিধায়ক না থাকায় তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসাম সরকারের সার্কুলারের প্রতিলিপি পোড়ান। বক্তব্যে এও বলা হয়, সরকার ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি না থাকা ছাত্রদেরও ফি মকুব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কলেজের অনুন্নত পরিকাঠামো, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষকের অভাব যে ছাত্রদের উপস্থিতি কম হওয়ার অন্যতম কারণ, তা সমাধানের কোনও চেষ্টাই করছে না। উপরন্তু এই সিদ্ধান্ত যে এ বছর প্রত্যাহার করা হবে তাও আগে থেকে সরকারের পক্ষে জানানো হয়নি।
বিনামাশুলে ভর্তির সুযোগ আসাম সরকার করে দেওয়ার ফলে বিগত বছরগুলোতে অতি দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষা অর্জনের আশা নিয়ে কলেজে ভর্তি হয়। কিন্তু হঠাৎ করে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে তাদের শিক্ষাঙ্গন থেকে আর্থিক অসঙ্গতির কারণে বিদায় নিতে হচ্ছে। এই সার্কুলার প্রত্যাহার করা না হলে এআইডিএসও’র আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে সংগঠনের তরফে হুঁশিয়ারি প্রদান করা হয়।