Barak UpdatesBreaking News
বিজেপি নেতার মৃতদেহ নিয়ে মহাসড়কে বিশাল মিছিল, উত্তেজনা
২০ মার্চ : মঙ্গলবার রাতে বিজেপি নেতা সুখেন্দু দাসের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল বিজেপি। বুধবার সকালে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ময়না তদন্তের পর তাঁর মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। মৃতদেহ নিয়েই রাস্তায় বেরোয় এক বিশাল শোক মিছিল। এই মিছিলে অংশ নেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, জেলা বিজেপি সভাপতি কৌশিক রাই, বিধায়ক কিশোর নাথ, প্রদেশ মুখপাত্র রাজদীপ রায় সহ স্থানীয় ও জেলাস্তরের অনেক নেতা ও কর্মী।
এ দিন প্রয়াত বিজেপি নেতা সুখেন্দু দাস ওরফে সেবুলের লেবুরবন্দের বাড়ি থেকে মিছিল এগিয়ে যায় ঝাঁপিরবন্দে ঘটনাস্থলের দিকে। মিছিলটি ঘটনাস্থলে পৌছার পর কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। কিছু যুবক প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সেখানে ইট পাটকেল ছোঁড়ে। তবে পুলিশ ও সি আর পি এফ বাহিনী থাকায় পরিস্থিতি বেশিদূর গড়াতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানিয়েছেন, রাতে একটি পরিত্যক্ত ঘরে বিজেপি নেতাকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই কথা কাটাকাটির জেরে গুলিবিদ্ধ হন সুখেন্দু দাস। এ ঘটনায় মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এরা হলেন মন্টু চক্রবর্তী, জয়মুল আলি, দারাসিং রাজবংশী, মুজিবুর রহমান লস্কর ও নিজাম উদ্দিন লস্কর।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে তাঁদের মনে হচ্ছে, এই খুনের ঘটনাটি পুরোপুরি অরাজনৈতিক। ব্যক্তিগত বিবাদের জেরে এই খুন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, খুন হওয়া বিজেপি নেতা সুখেন্দু দাস মাটি-পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কারণ অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশ যাদের আটক করেছে তারাও একই কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। তাদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন আবার একই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন জিপি সভাপতি। তিনি কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। তবু এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি বা সাম্প্রদায়িক বিবাদের বিষয়টি অনেকেই উড়িয়ে দিয়েছেন।
ঘটনাস্থলের পাশে থাকা জনৈক বাসিন্দা সেরাম উদ্দিন জানিয়েছেন, রাত আটটা নাগাদ বাড়িতে যখন তিনি রাতের খাবার খাচ্ছিলেন তখনই হঠাৎ করে প্রচন্ড জোরে শব্দ শুনতে পান। মহাসড়কে প্রায়ই প্রচন্ড শব্দে টায়ার ফাটার আওয়াজ তারা শোনেন। ফলে প্রথমে সেই শব্দে তিনি আমল দেননি। কিছুক্ষণ পর চিতকার-চেঁচামেচি শুনে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। আশপাশের লোকজনও সেখানে হাজির হন। তারা দেখতে পান মাটিতে সুখেন্দু দাসের দেহ উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে।
রিঙ্কু সেনাপতি নামে অপর ব্যক্তিও সে সময় সেখানে জখম অবস্থায়। রিঙ্কু প্রথমে তাদের জানান, মোবাইল ফেটে জখম হয়েছেন সুখেন্দু। তাঁকে যেন তারা খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এরপরই স্থানীয় জনগণ সুখেন্দুর মামাকে ফোন করেন। তিনিই গাড়ি নিয়ে তাদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। ততক্ষণে জানাজানি হয়ে যায়, মোবাইল ফাটা নয়, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাঁরা।