Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
বাংলাদেশিঃ কেন্দ্র-রাজ্যের রিপোর্ট চাইল মানবাধিকার কমিশন
অসমে ২০১৫ সালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে এখানে এসে আশ্রয় নিলেও বিদেশি বলা হচ্ছে। ডিটেনশন ক্যাম্পের নামে তাদের জেলে রাখা হচ্ছে। চোর-ডাকাত-খুনিদের সঙ্গেই থাকতে দেওয়া হয় তাদের। এ নিয়েই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে বিচার চেয়েছিল নর্থ ইস্ট লিঙ্গুইস্টিক মাইনরিটি অ্যান্ড এথনিক কো-অর্ডিনেশন কমিটি (নেলেক)। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব ও অসমের মুখ্য সচিবের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে যে সব হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পারসি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের পাসপোর্ট আইন ও ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স আইন থেকে রেহাই দেওয়া হবে। ভারতে বসবাসের ক্ষেত্রে তাদের বাধা থাকবে না। তাদের নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের ব্যাপারেও যে সরকার চিন্তাভাবনা করে চলেছে, এরও উল্লেখ ছিল সেই বিজ্ঞপ্তিতে। দেশের অন্যত্র এই বিজ্ঞপ্তি মান্যতা পেলেও বিজেপি-শাসিত অসমে তা মানা হয় না। এ নিয়েই সরব হয় নেলেক নামে নবগঠিত সংস্থাটি। তাদের আরও অভিযোগ, অন্য কয়েদিদের সঙ্গে রাখা হলেও শ্রমের বিনিময়ে অন্যরা যখন জেলে অর্থ উপার্জন করেন, বাংলাদেশি বলে ধৃতদের কোনও উপার্জনের ব্যবস্থা নেই। মানবাধিকার কমিশনে নেলেকের আর্জি, শুধু বিজ্ঞপ্তি নয়, একে আইনে পরিণত করার জন্য কেন্দ্র যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এর আগে পর্যন্ত আশ্রিত হিন্দুদের যেন কোনও অবস্থায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলা না হয়।